ফরিদগঞ্জে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন
ফরিদগঞ্জে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছেলামত উল্যাহকে আটক করে ফাঁসির দাবিতে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের রঘুনাথপুর এলাকায় ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঘটনার শিকার শিশুটির মাদ্রাসাসহ আশপাশের আরো ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং এলাকাবাসী অংশ নেয়।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, ঘটনার ২৫দিন পার হয়ে গেলেও পুলিশ অভিযুক্ত ছেলামত উল্যাহ্কে এখনো আটক করতে পারে নি। এতে শিশুটির পরিবার ও এলাকার অন্য শিক্ষার্থীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছে বলে আমরা মনে করি। তারা আরো বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। আমাদের প্রত্যাশা, অবশ্যই শিশু ধর্ষণসহ সব ধরনের নারী নির্যাতন বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন তিনি। বক্তারা অচিরেই রঘুনাথপুর গ্রামে শিশু ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত ছেলামত উল্যাহকে গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবি জানান।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মাওলানা ওমর ফারুক, প্রধান শিক্ষক নাসিমা আক্তার, সমাজসেবক বেলাল হোসেন, শিক্ষার্থী আমেনা আক্তার প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে অংশগ্রহণকারীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
গত ১৬ জুন নিজ বাড়িতে ধর্ষণের শিকার হয় স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। এই ঘটনার পর ধর্ষিতার পরিবারের পক্ষ থেকে ফরিদগঞ্জ থানায় অভিযুক্ত ছেলামত উল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘটনার পর থেকে শিশুটি মাদ্রাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। তার দরিদ্র বাবা সিএনজি অটোরিক্সা চালক পরিবারের সদস্যরা এ ঘটনার পর চরম নিরাপত্তাহীনতায় আছে।
আসামী গ্রেফতার প্রসঙ্গে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুর রকিব জানান, ধর্ষিতা শিশু ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্যে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে। একইসঙ্গে অভিযুক্ত ছেলামত উল্যাহকে গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
মতলবে ছেলেধরা সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ
রেদওয়ান আহমেদ জাকির ও মুহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ ॥ মতলব দক্ষিণে ছেলেধরা সন্দেহে আমির হোসেন নামে একজনকে আটক করেছে স্থানীয় জনতা। গতকাল ১১ জুলাই আনুমানিক বেলা ১২টায় উপজেলার খিদিরপুর গ্রামে খিদিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। পরে মতলব দক্ষিণ থানার পুলিশ বিক্ষুব্ধ জনতার রোষানল থেকে আটককৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। আটককৃত আমির হোসেন মতলব দক্ষিণ উপজেলার নবকলস এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গতকাল বেলা ১২টায় উপজেলার খিদিরপুর গ্রামের হানিফ বকাউলের মেয়ে খিদিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী হাসনা আক্তার বিদ্যালয়ে গিয়ে আমির হোসেনকে দেখে ভয় পেয়ে দৌড়ে বাড়ি চলে যায় এবং তার মাকে অপরিচিত লোকের কথা জানায়। তাৎক্ষণিক হাসনার মা বিষয়টি আশপাশের লোকদের জানালে লোকজন গিয়ে আমির হোসেনকে খিদিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের দোকানের কাছ থেকে আটক করে।
পরে আটককৃত আমির হোসেনকে নারায়ণপুর বাজার এলাকায় নিয়ে আসলে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এসময় সেখানে অনেক লোক সমবেত হয়। খবর পেয়ে মতলব দক্ষিণ থানা অফিসার ইনচার্জ একেএমএস ইকবালসহ সঙ্গীয় ফোর্স আমির হোসেনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ জানান, প্রকৃতপক্ষে উদ্ধারকৃত লোকটি মধুর চাক কাটে। মানুষের মাঝে বর্তমানে যে ছেলেধরা আতঙ্ক বিরাজ করছে লোকটি এমনই গুজবের শিকার।