হাজীগঞ্জে ধর্ষণের অভিযোগে কথিত ইমাম আটক
প্রাইভেট শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে মোজাম্মেল হক (২৫) নামে কথিত এক ইমামকে আটক করেছে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ। পুলিশ পরে আটককৃত মোজাম্মেলকে আদালতে পাঠালে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের মুড়াগাঁও গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির মোহাম্মদ জাফর আলী মিয়ার ছেলে। ধর্ষণের শিকার কিশোরী চাঁদপুর সদর এলাকার দেবপুর গ্রামের এক প্রতিবন্ধী দম্পতির মেয়ে। এ এলাকার একটি মসজিদে মোজাম্মেল ইমামতি করতো বলে জানা গেছে।
কিশোরীর মা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগে হাজীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলার সূত্রে জানা যায়, কিশোরীর বাবা অন্ধ হওয়ায় তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনে দিনের বেলায় হাজীগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ভিক্ষা করেন, পাশাপাশি মেয়েটিকে পড়ালেখা করান। অন্ধ পরিবারের এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মোজাম্মেল হক কিশোরীকে ইংরেজি বিষয়ে প্রাইভেট পড়ানোর দায়িত্ব নেন।
পরে কিশোরীকে ভালোভাবে পড়ানোর কথা বলে তার বাবা-মাকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে গত ১৭ নভেম্বর হাজীগঞ্জের মকিমাবাদ গ্রামের একটি ভাড়া বাসায় কিশোরীকে নিয়ে আসেন মোজাম্মেল হক। সে বাসায় কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে মোজাম্মেল।
ঘটনার পর কিশোরী তার পরিবারের কাছে সব খুলে বলে। প্রতিবন্ধী পরিবারটি মান সম্মানের ভয়ে কাউকে কিছু না বলে ভিক্ষার পাশাপাশি গোপনে ধর্ষক মোজাম্মেলকে খুঁজতে থাকে। এদিকে গত ১৯ মে রোববার বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজারে মোজাম্মেল হককে দেখতে পেয়ে কিশোরীর মা তাকে জাপটে ধরেন। এরপর স্থানীয় জনতা জড়ো হয়ে ঘটনা শুনে মোজাম্মেলকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পুলিশ তাকে আটক করে সোমবার দুপুরে আদালতে পাঠায়।
এ ব্যাপারে হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন রনি জানান, ধর্ষণের অভিযোগ এনে কিশোরীর মা বাদী হয়ে রোববার থানায় মামলা দায়ের করেন। সোমবার আটক মোজাম্মেলকে আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়।
তিনি বলেন, মেডিকেল পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে কিশোরীকে তারা বাবা-মায়ের জিম্মায় দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত।