• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ভিঙ্গুলিয়া গ্রামে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে প্রায় দশ লক্ষ টাকার পণ্য পুড়ে ছাই

প্রকাশ:  ৩১ মার্চ ২০১৯, ১২:৩২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

হাইমচর উপজেলার ২নং উত্তর আলগী ইউনিয়নের ভিঙ্গুলিয়া গ্রামে প্রতিপক্ষের জমি আত্মসাৎ ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর জন্যে ভাড়াটিয়া রাজ্জাকের দোকানে আগুন দেয়ায় প্রায় দশ লক্ষ টাকার পণ্য ক্ষতি হয়েছে। গত ২৭ মার্চ ভোর বেলায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে গেলে চাঁন মিয়া শেখ জানান, মৃত আব্দুল গফুর শেখের পাঁচ ছেলে ও এক মেয়ের ষাট শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলছে তাদের ভাই বিল্লাল ও তার স্ত্রী রোশনার সাথে। রোশনা তাদেরকে মিথ্যা মামলায় জড়ানোর জন্যে রাজ্জাকের দোকানে আগুন দিয়েছে। ষাট শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে এই দোকান। রাজ্জাকের দোকানে আগুন দেয়া সম্পর্কে রোশনা জানান, আমি ঘুমে ছিলাম। লোকজনের ‘আগুন আগুন’ চিৎকারের শব্দ শুনে ঘুম থেকে জেগে আগুন নেভানোর জন্যে বালতি এনে দেই এবং আমি থানা পুলিশকে ফোন দেই। পরে ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ অফিস, থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। কে বা কারা আগুন দিয়েছে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার সাথে এই জমি ও দোকান নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ আমার ভাসুর ও দেবরদের বিরোধ চলছে। হয়তো তারা আগুন দিতে পারে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কে বা কারা সকাল বেলায় দোকানে আগুন দিয়েছে আমরা দেখিনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান, বিল্লাল ও তার স্ত্রী ভাইদের জমি আত্মসাৎ ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর জন্যে এই ঘটনা ঘটাতে পারে। হাইমচর উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার জিএম আমির হোসেন ফায়ার সার্ভিসের সরঞ্জাম নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে দেখেন, স্থানীয় জনগণ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের ইনচার্জ শহীদুল্লাহ এসে দেখেন দোকানের মিটারের সাথে বিদ্যুতের লাইন কেটে রাখা হয়েছে। হাইমচর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল তদন্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্জাক কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি এই দোকানের উপর নির্ভর করে পরিবারের সদস্যদের ভরণ পোষণ করি, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া চালাই। দুর্বৃত্তরা আমার মতো একটা অসহায় লোকের প্রায় দশ লক্ষ টাকার মুদি মাল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছে। আমার এ ক্ষতিপূরণ কে দিবে? আমি রোশনার কাছ থেকে দোকান ভাড়া নিয়েছি। কিছুদিন পূর্বে রোশনা আমাকে বলেছিলেন দোকান থেকে কিছু মুদি মাল সরিয়ে ফেলার জন্যে।
হাইমচর থানার এসআই তরুণ কান্তি দে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন এবং তদন্ত শুরু করেছেন। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোনো অভিযোগ বা মামলা হয়নি। তবে অভিযোগের প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়।