• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স ডাকাতি

মতলবের কুখ্যাত ৩ ডাকাত আটক

প্রকাশ:  ১৪ মার্চ ২০১৯, ১৪:২৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনায় ৩ কুখ্যাত ডাকাতকে আটক করেছে পুলিশ। মতলব উত্তর থানা পুলিশের একটি শক্তিশালী টিম গত ১০ মার্চ দিবাগত রাত থেকে ১১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। আদালতে ধৃত ৩ ডাকাতের কাঃবিঃ ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
    গত ১৭ জানুয়ারি দিবাগত ভোর রাত আনুমানিক ৪টার দিকে (১৮/১/১৯ খ্রিঃ) মতলব উত্তর থানাধীন আনন্দবাজার টু ঘাসিরচর পাকা রাস্তায় মজিদ বেপারীর বাড়ির সামনে রাস্তায় গাছ ফেলে ঢাকা মেট্টো-চ-০২-০৫৩৯ নাম্বারের একটি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্স আটকে লাশের সাথে থাকা আত্মীয়স্বজনদের নগদ প্রায় ১,০৫০০০ টাকা এবং ১,৩৬,১৮০ টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার ও ৩টি মোবাইল সেট লুণ্ঠন করে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদল। অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকা শ্যামলী শিশু হাসপাতাল হতে আফরিন আক্তার (৯) নামে এক শিশুর লাশ নিয়ে মতলব উত্তর থানাধীন শিকারিকান্দি গ্রামে আসছিলো। পরে আফরিনের চাচা মনির হোসেনের দায়েরকৃত এজাহারের ভিত্তিতে অ্যাম্বুলেন্স চালকসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩ জনের বিরুদ্ধে মতলব উত্তর থানার মামলা নং-১৩, তাং-১৯/১/১৯ খ্রিঃ, ধারা-৩৯৪ পেনাল কোড রুজু হয়।
    দীর্ঘদিন যাবৎ মামলাটির রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করে যাচ্ছিলো তদন্ত টিম মতলব উত্তর থানা পুলিশ। স্থানীয়ভাবে প্রকাশ্য ও গোপনে তদন্তের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে পরিদর্শক (তদন্ত) মুরশেদুল আলম ভূঁইয়া ও এসআই ইসমাইল হোসেন এসআই গোলাম মোস্তফা, এএসআই কাজী হাবিব, এএসআই নাহিদ, এএসআই জয়দেব, এএসআই আবু হানিফ এবং অন্যান্য অফিসার ফোর্সসহ মতলব উত্তর থানা পুলিশের টিম গত ১০ মার্চ দিবাগত রাত থেকে ১১ মার্চ মধ্যরাত পর্যন্ত মতলব উত্তর ও দক্ষিণ থানা, দাউদকান্দি এবং তিতাস থানা এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে প্রথমে মতলব উত্তর উপজেলার মৃত ঈষান ঋষির ছেলে জয়কৃষ্ণ ঋষি (৩০) ও দুর্গাপুর গ্রামের কালিদাস মনির ছেলে লিটন মনিকে (৩০) আটক করে। আটক ২ জনের স্বীকারোক্তিমূলক তথ্যের ভিত্তিতে কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার লালপুর গ্রাম থেকে তাদের অন্যতম সহযোগী মতলব উত্তর উপজেলার খালপাড় (দুর্গাপুর) গ্রামের মৃত বাহার আলী প্রধানের ছেলে মোহাম্মদ আলী (৪০)কে আটক করা হয়। ১২ মার্চ ধৃত ৩ ডাকাতকে আদালতে হাজির করা হলে চাঁদপুরের বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ নুরে আলমের আদালতে আসামীরা দোষ স্বীকার করে কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি প্রদান করে।
    এ ব্যাপারে মতলব উত্তর অফিসার ইনচার্জ মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ডাকাতি ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে মতলব উত্তর থানা পুলিশ। পলাতক ৪ জন ডাকাতের সন্ধানে এবং লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান অব্যাহত আছে।

সর্বাধিক পঠিত