• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিষ্ণুদীতে স্থিতাবস্থাকৃত সম্পত্তিতে প্ল্যান অনুমোদনবিহীন ভবন নির্মাণ!

প্রকাশ:  ২০ জানুয়ারি ২০২০, ১২:০২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

বিষ্ণুদীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্থিতাবস্থাকৃত সম্পত্তিতে প্ল্যান অনুমোদনবিহীন ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধের নির্দেশনা দিলেও চাঁদপুর পৌরসভার আদেশ আমলে নিচ্ছেন না ঠিকাদার আবুল হোসেন। গত সোমবার বিষ্ণুদী বরকন্দাজ বাড়িতে পৌর কর্তৃপক্ষের সার্ভেয়ার শেখ মনিরুজ্জামানের সহকারী সাইফুল সরজমিনে গিয়ে কাজ বন্ধ করার জন্য চাঁদপুর পৌরসভার নির্দেশনার কথা অভিযুক্তদের জানান। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ঠিকাদার আবুল হোসেন পৌর প্রতিনিধিকে বলেন, তোর কাজ বলা তুই বলছস। এখন এখান থেকে যা, আমি অফিসের সাথে বুঝমু।
সরজমিনে গিয়ে অনুসন্ধানে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের ১৫নং ওয়ার্ডের বিষ্ণুদী বরকন্দাজ বাড়িতে সম্পত্তি নিয়ে ওয়ারিশদের মধ্যে দু’টি মামলা আদালতে চলমান। আব্দুর রহমান গং নালিশি ভূমিতে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন করে ছলেমা খাতুন গংয়ের বিরুদ্ধে চাঁদপুর জজকোর্টে মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৫৫/২০১৭। অপরদিকে ছালেহা বেগম গং বাদী হয়ে একই আদালতে বন্টকনামা মামলা করেন। যার নং ২৪৯/১৭। এই দুটি মামলা আদালতে চলমান অবস্থায় উক্ত সম্পত্তিতে নিষেধাজ্ঞা মামলার বাদী আব্দুর রহমান ঠিকাদার আবুল হোসেন গংয়ের নিকট বায়না করেন। পৈত্রিক ও বায়না সূত্রে উক্ত সম্পত্তির মালিক দাবি করে ঠিকাদার আবুল হোসেন তার ইতালী প্রবাসী ছোট ভাই ফারুক বরকন্দাজের নামে ভবন নির্মাণ করছেন।
শেখ ফরিদ আহমেদ নামে এক ব্যক্তি জানান, আমার মা সুফিয়া বেগম পৈত্রিক ওয়ারিশ সূত্রে বিএস ৬১৫নং খতিয়ানভুক্ত ১৪ শতাংশ ভূমির মালিক হয়ে আমাকে রেজিস্ট্রি করে দিলে উক্ত সম্পত্তির মালিক হই। নিষেধাজ্ঞা মামলার বাদী আব্দুর রহমান ঠিকাদার আবুল হোসেনের সাথে মামলা চলমান অবস্থায় এ সম্পত্তি বিক্রির পাঁয়তারা করছেন। ঠিকাদার আবুল হোসেন এ ভবন নির্মাণে তার বাগানের মূল্যবান ৭টি পুরানো গাছ কেটে নিয়ে গেছেন। শুধু তাই নয়, তার বসতঘর মেরামতের জন্য নির্মাণ সামগ্রী জোরপূর্বক নিয়ে গেছে এবং তাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।
এ ভবন নির্মাণে ঠিকাদার আবুল হোসেনের নিকট এর যথাযথ কাগজপত্রের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সকল কাগজপত্র আপডেট রয়েছে। সেগুলো দেখতে চাইলে তিনি জায়গামতো দেখাবেন বলে জানান। এ সম্পত্তির উপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা চলমান সত্ত্বেও তিনি কিভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জবাবে তিনি বলেন, পুরো সম্পত্তিতে কি আদালতের নিষেধাজ্ঞা ? এটা আমার পৈত্রিক সম্পত্তি। এছাড়া এ বাড়ির ৭০ শতাংশ ভূমির মালিক আমরা।
গত বৃহস্পতিবার চাঁদপুর পৌরসভার প্রকৌশলী জাহিদ হোসাইন খানের সাথে এ সম্পর্কে আলাপকালে তিনি জানান, ৪/৫ দিন পূর্বে ঠিকাদার আবুল হোসেন তার ভাই প্রবাসী ফারুক বরকন্দাজের নামে ৪তলা ভবন নির্মাণের একটি নকশা জমা দেন। কিন্তু অনুমোদনের আগে তিনি কিভাবে কাজ শুরু করলেন তা আমাদের বোধগম্য নয়। মেয়র মহোদয়ের নির্দেশে অবৈধ এ ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধের নির্দেশনা আমরা দিয়েছি। এরপরেও যদি তিনি কাজ চালিয়ে যান তাহলে পৌর কর্তৃপক্ষ অবৈধ ভবন নির্মাতাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

 

 

সর্বাধিক পঠিত