• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সাজানো মামলায় জেল খাটলেন ভগ্নিপতিসহ দুই ভাই

প্রকাশ:  ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ২২:৩০
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরের ১২নং ওয়ার্ড জিটি রোডের দক্ষিণ বিষ্ণুদী এলাকায় পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঘর নির্মাণ কাজে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে সাজানো মামলা দিয়ে জাকির হোসেন সরকার, মোঃ কবির সরকার ও তাদের ভগ্নিপতি মোঃ বশির গাজীকে জেল খাটালেন প্রতিপক্ষ মোঃ হোসেন। ওই সাজানো মামলা থেকে রেহাই পায়নি জাকিরের প্রবাসী ভাই জহির সরকারও।
২০১৯ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঘটনার সময় দেখিয়ে ১৯ ডিসেম্বর চাঁদপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন একই এলাকার সরকার বাড়ির মোঃ আব্দুল হাকিম সরকারের ছেলে মোঃ হোসেন। মামলা নং-২১। এ মামলায় জাকির, কবির ও বশির ৩জনই জেল খেটে বর্তমানে জামিনে আছেন।
মামলার বিবরণ ও সরজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, দক্ষিণ বিষ্ণুদী সরকার বাড়ির ছায়েদ আলী সরকারের ৩ ছেলে ইউসুফ আলী, আব্দুল হাকিম ও ঈমান আলী সরকার। পিতার মৃত্যুর পরে পৈত্রিক সম্পত্তি বন্টক না হলেও হারহারি ভোগদখলে আছেন ৩ ছেলে। এর মধ্যে ছোট ছেলে ঈমান আলী সরকার বিষ্ণুদী মৌজার ২২৮৮ নাল দাগে ৯ শতাংশ ভূমিতে বাড়ি করে দুই যুগেরও বেশি সময় বসবাস করে আসছেন এবং ঈমান আলী সরকারের নামে উল্লেখিত সম্পত্তি খারিজ ও ২০১৯ সাল পর্যন্ত খাজনা নবায়ন রয়েছে।
বর্তমানে ওই এলাকার সম্পত্তির মূল্য বেড়ে যাওয়ায় মোঃ হোসেনসহ একটি চক্র তাদের আপন চাচা ঈমান আলী সরকারের সম্পত্তিতে তাদের অংশ রয়েছে দাবি করে নির্মাণ কাজে বাধা দেয়। এ নিয়ে ঈমান আলী সরকারের ছেলে কবির হোসেন চাঁদপুর মডেল থানায় ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর সাধারণ ডায়েরি করেন। ডায়েরি নং-১৫৮৩। ডায়েরিতে উল্লেখ করা হয়, তাদের সম্পত্তিতে পাকা ঘর নির্মাণ করার জন্যে পিকআপ ভ্যানে করে ইট আনতে গেলে মোঃ হোসেন গং বাধা প্রদান করে। ঘটনাটি তদন্ত করে পুলিশ সত্যতা পায়। পরবর্তীতে ওই ঘটনাটি নিয়ে মামলা হলে আদালতে তদন্তকারী কর্মকর্তা সঠিক ঘটনার চার্জশীট প্রদান করেন।
সঠিক ঘটনা প্রকাশ পাওয়ার পর মোঃ হোসেন কথিত মারামারিতে আহত ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট দিয়ে জাকির, কবির ও বশিরসহ তাদের প্রবাসী ভাই জহিরকে আসামী করে থানায় মামলা করেন। তাদের সাজানো মামলাটির সাক্ষীদের মধ্যে কেউ কেউ এ ঘটনার কিছুই জানেন না। মেডিকেল সার্টিফিকেটটিও প্রশ্নবিদ্ধ।
ক্ষতিগ্রস্ত কবির হোসেন সরকার বলেন, তিনি সদরের চাঁদখাঁর দোকান এলাকায় একটি মসজিদে ইমামতি করেন ও মাদ্রাসার শিক্ষক। মারামারির কোনো ঘটনাই হয়নি। তিনি কোনো কিছুই জানতেন না। পুলিশ তাকে মাগরিবের নামাজের পরে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
বশির গাজী বলেন, আমার শ^শুর খুবই সহজ সরল লোক। যার কারণে তিনি শান্তিতে বসবাস করবেন এটিই প্রতিপক্ষের সহ্য হয় না। ঈমান আলী সরকার তার পৈত্রিক সম্পত্তিতেই কয়েক যুগ বসবাস করে আসছেন। যার সকল কাগজপত্র আছে। তারপরেও কোনো অপরাধ না করে সাজানো মামলায় আমাদের জেল খাটতে হয়েছে। এতে করে আমাদের সম্মানহানী হয়েছে এবং প্রতিপক্ষ মোঃ হোসেন আমাদের ক্ষতি করার জন্যে চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
পুলিশ প্রশাসন ও আদালতের কাছে আমাদের দাবি সাজানো মামলাটি সঠিকভাবে তদন্ত করে বিচার করা হোক। বিশেষ করে ঘটনা না ঘটলেও কীভাবে ভুয়া মেডিকেল সার্টিফিকেট চিকিৎসক দিলেন এবং ওই সার্টিফিকেট সঠিক কিনা তা না বুঝে মামলা গ্রহণ করা হলো।

 

সর্বাধিক পঠিত