• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ ॥ প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট

প্রকাশ:  ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১৪:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ হচ্ছে। এভিডেভিটের মাধ্যমে বয়স সংশোধন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নাম ব্যবহার করা হয়। গতকাল রোববার জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়টি কমিটির সদস্যরা জেলা প্রশাসকে অবহিত করেন।
জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান বলেন, নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, বাল্যবিবাহ রোধ করতে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি নির্দেশ। এটি করা হলে রাষ্ট্রীয় আইন অমান্য করা হবে। এটা সহ্য করার মতো নয়। সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে এ ব্যাপারে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
‘বাল্যবিবাহ নিরোধ কাজীদের ভূমিকা’ সংক্রান্ত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিটের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে : প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হতে নোটারী পাবলিক এভিডেভিডের মাধ্যমে বিয়ে পড়াতে বা নিবন্ধন করাতে পারেন না। এ বিষয়টি জনসাধারণকে ব্যাপকভাবে অবহিতকরণের ব্যবস্থাগ্রহণের জন্য অত্র বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন। মুসলিম আইন অনুযায়ী বিবাহের আবশ্যকীয় উপাদান হচ্ছে : (ক) বর বা কনে এদের কোনো এক পক্ষ কর্তৃক বিবাহের প্রস্তাব প্রদান। (খ) অন্য পক্ষ কর্তৃক উক্ত প্রস্তাব গ্রহণ।  (গ) কমপক্ষে দুইজন সাক্ষী থাকা এবং (ঘ) দেনমোহর থাকা। এগুলোর কোনো একটি অনুপস্থিত থাকলে বিবাহ সিদ্ধ হবে না। ঞযব গঁংষরস গধৎৎরধমব ধহফ উরাড়ৎপবং  অপঃ ১৯৭৪ ধারার বিধান অনুযায়ী প্রত্যেকটি মুসলিম বিবাহ রেজিস্ট্রেশন হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং এই রেজিস্ট্রেশন করার এখতিয়ার কেবলমাত্র নিকাহ রেজিস্ট্রারগণের। কিন্তু লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, নোটারী পাবলিক কর্তৃক পাত্র-পাত্রী কর্তৃক কেবলমাত্র একটি ঘোষণা সম্বলিত এফিডেভিটের মাধ্যমে তথাকথিত বিয়ে পড়ানো হচ্ছে, যা আইনে মোটেও স্বীকৃত নয়। এতে একদিকে যেমন বিবাহের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেয় তেমনি অন্যদিকে বিবাহ রেজিস্ট্রি না হওয়ায় এর উপর কোনো আইনগত দালিলিক সুরক্ষাও থাকে না। তাছাড়া নোটারি পাবলিকের নিকট এরূপ ঘোষণার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই বিধায় নোটারী পাবলিক কর্তৃক এফিডেভিটের মাধ্যমে বিবাহ রেজিস্ট্রি বন্ধ হওয়া আবশ্যক। এমতাবস্থায় আইনি স্বীকৃতি না হওয়ায় নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বিয়ে/তালাক না পড়াতে  নির্দেশ দেয়া হলে এবং সংশ্লিষ্ট নোটারী পাবলিকগণের অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে সকল জেলা জজ এবং জেলা প্রশাসক ও আইনজীবী সমিতির সভাপতিকে অনুরোধ জানিয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ  সরকারের আইন ও বিচার বিভাগের সহকারী সচিব মোঃ নূরে আলম সিদ্দিকী।