• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ৮ ফাল্গুন ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

এমভি মহারাজ লঞ্চ ডুবির ২০ বছর আজ স্বজনদের কান্না থামেনি আজও

প্রকাশ:  ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:১১
বাবুল মুফতী
প্রিন্ট

আজ মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলাবাসীর জন্য ভয়াল ১৯ ফেব্রুয়ারী। ২০০৫ সালের এই দিনে ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা মতলবগামী এম ভি মহারাজ লঞ্চটি কালবৈশাখী ঝড়ে প্রায় আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাগলা নামক স্থানে উল্টে নিমজ্জিত হয়। ভয়াল এ ট্রাজেডির ২০ বছর পূরণ হল আজ। বছর শেষে এই দিনটি ফিরে এলে  মনে পরে যায় সেই ২০০৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারীর ভয়াল লঞ্চ দূর্ঘটনার কথা।  যেদিন প্রিয়জনদের হারিয়েছে তাদের   স্বজনদের।

এ দূর্ঘটনায় লঞ্চে থাকা প্রায় দু’শতাধিক বিভিন্ন বয়সী নারী-শিশু ও পুরুষ প্রাণ হারায়। লঞ্চটিতে মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলার যাত্রী ছাড়াও চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ভোলাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার যাত্রী ছিল। লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত স্বজনদের কান্না থেমে নেই আজও। মতলববাসীর জন্যে আজকের দিনটি হচ্ছে শোকাবহ এক স্মরণীয় দিন। লঞ্চ দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের মধ্যে ছিলেন, নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, তার কন্যা মতলব কঁচি-কাঁচা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী শিলাত জাহান অর্থি, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই মাস্টার, আইসিডিডিআরবির ডা. মো. মাসুম, দগরপুর গ্রামের প্রকৌশলী ফারুক দেওয়ান,দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠের মতলব উত্তর প্রতিনিধি বাবুল মুফতির শ্যালক নিশ্চিন্তপুর গ্রামের টিপু শিকদার মতলব বাজারের সার ব্যবসায়ী ইয়াসিন মৃধা, ড্যাফোডিল ইউনির্ভাসিটির কর্মকর্তা ফরুক দেওয়ানসহ পরিবারবর্গ, দশপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম, বাইশপুর গ্রামের ছোট খোকন ও বড় খোকন, মতলব উত্তরের বারহাতিয়া গ্রামের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী শাহআলম, , ঘাসিরচর গ্রামের আবু হানিফ, পাঠানচক গ্রামের ইয়াছিন আরাফাত, বাদল হোসেন, মধ্য নিশ্চিন্তপুর গ্রামের টিপু মুন্সি,  দূর্গাপুর গ্রামের সুমন মিয়াসহ নাম জানা নাজানা অনেকের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।

মিলাদ, মাহফিল, দোয়া ও শোক সভার মাধ্যমে আজকের দিনটিকে স্বরণ করে রাখেন নিহতদের স্বজনেরা। নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মতলবের বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল করা হয়।

 

 

সর্বাধিক পঠিত