লিভারের রোগে আক্রান্ত ওসমানের বেঁচে থাকার আকুতি
যে দুটি চোখে স্বপ্ন দেখার কথা নিজের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের, অশ্রুঝরা সেই চোখ দুটিতে যেন এখন শুধুই একটু সুস্থভাবে বেঁচে থাকার আকুল আকুতি। ২০১৯ সালে চাঁদপুর সরকারি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স পাস করা ওসমান গাজীর।
ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সাহাপুর দেওয়ানজি বাড়ির বাসিন্দা শহিদুল্লাহ গাজীর ছোট ছেলে ওসমান গাজী ২০০৮ থেকে ভুগছেন লিভারজনিত সমস্যায়। খাবার খেলেই পেট ফুলে যাওয়া, হাত ও পা ফুলে যাওয়ার সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে স্থানীয় ডাক্তারদের পরামর্শে খেয়েছেন বহু ঔষধ। তাতে স্বাস্থ্যের উন্নতি তো দূরের কথা, ক্রমাগত শরীরের অবস্থা অবনতির দিকে। খাবার খেলেই এমন অবস্থা সৃষ্টি হওয়ায় একটুখানি স্বস্তি পেতে এখন প্রায় দিনগুলো অনাহারেই কাটিয়ে দেন ওসমান। ক্রমাগত নিজের স্বাস্থ্যের অবনতি দেখে স্থানীয় বাজারের চিকিৎসকদের পরামর্শে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে প্রয়োজনীয় কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর ডাক্তার জানান অপারেশনের কথা। যা করতে প্রয়োজন লক্ষাধিক টাকা।
নিজের পড়াশুনাকালীন সময়ে পড়াশোনার পাশাপাশি একটি ফুড প্রোডাক্টস্ কোম্পানিতে চাকরি করা ও টিউশনি করে উপার্জনের পথ খোলা থাকলেও অসুস্থতায় পড়ে হারিয়েছেন সেই কোম্পানির চাকরিটিও। বৃদ্ধ বাবা-মাসহ ৭ সদস্যের পরিবারের খাবারের চাহিদা জোগান দিতে অসুস্থ শরীর নিয়েই ফের অন্য একটি ফুড প্রোডাক্টস্ কোম্পানিতে যোগ দিয়েছেন। যেখানে পরিবারের সদস্যদের দু-মুঠো ভাত ও নিজের ঔষধ খরচ চালাতেই হিমশিম খাচ্ছেন ওসমান, সেখানে লক্ষাধিক টাকায় নিজের অপরেশন করা নেহাত কল্পনা মাত্র।
লিভারের রোগাক্রান্ত ওসমান গাজীর মা রাশিদা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বৃদ্ধ বয়সী স্বামীর উপার্জন ক্ষমতা না থাকায় ছেলের উপার্জনের উপর নির্ভর করেই চলতো সংসার। ছেলে অসুস্থ হওয়ার পর সব এলোমেলো হয়ে গেছে। ছেলে সংসারের খরচ চালাবে, না নিজের চিকিৎসা চালাবে, সব মিলিয়ে অসহায় অবস্থায় আছে আমার পরিবার। ঢাকায় হাসপাতালের ডাক্তার বলেছে অপারেশনের কথা। ঘর-ভিটি ছাড়া আর কোনো সম্পত্তি নেই যে, তা বিক্রি করে ছেলের অপারেশন করাবো। এমন অবস্থায় সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসলে ছেলেটার চিকিৎসা করা যাবে।
লিভারের রোগাক্রান্ত ওসমান গাজীকে চিকিৎসা সহায়তা করতে যোগাযোগ করতে কিংবা নগদ অর্থ সহায়তা করতে (বিকাশ, নগদ, ডাচবাংলা : ০১৯১৪৮৯৪৭৯৯)