বিতারা ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ
কচুয়া উপজেলার বিতারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে (ইউপি) আওয়ামী লীগের এক বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রায় দুই হাজার কর্মী-সমর্থক নিয়ে সর্বদলীয় নাগরিক সমাবেশ করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার ১৩ ডিসেম্বর উপজেলার বিতারা ইউনিয়নের মাঝিগাছা এমএম উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ইসহাক সিকদারের আহ্বানে স্থানীয় আওয়ামী লীগের আয়োজনে সর্বদলীয় নাগরিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
ইসহাক সিকদার পরপর দুই মেয়াদে ইউপি চেয়ারম্যান এবং তৃতীয়বারের মতো নির্বাচন করছেন। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামী কৃষক লীগের সদস্য। ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকা প্রতীকের মনোনীত প্রার্থী উপজেলা যুবলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আবদুল্লা আল মামুন। তিনি মঙ্গলবার ১৪ ডিসেম্বর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসহাক সিকদারের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার কাজী আবু বকর সিদ্দিকের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গত ১৩ ডিসেম্বর সোমবার বিতারা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসহাক সিকদার মাঝিগাছা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সর্বদলীয় নাগরিক সভার ব্যানারে এক জনসভায় নির্বাচনী আচরণবিধিকে বৃদ্ধাঙুলি দেখিয়ে মানুষের কাছে ভোট চেয়েছেন। প্রতীক বরাদ্দের আগেই বিভিন্ন জায়গায় পথসভা করে নির্বাচনী প্রচারণা করতে গিয়ে নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করে ভোটারদের বিভ্রান্ত করছেন। অথচ উক্ত ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের (নৌকা প্রতীক) প্রার্থী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও বিতারা, কড়ইয়া এবং আশ্রাফপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার কাজী আবু বকর সিদ্দিক জানান, ১২ ডিসেম্বর বাছাই পর্বে ইসহাক সিকদারের প্রার্থিতা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। তাই এ অভিযোগটি এখন আমলে নেয়া হচ্ছে না।