রাজরাজেশ্বরে গৃহবধূকে যৌতুকের জন্য শ্বাসরোধ করে হত্যা, স্বামী আটক
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪নং রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে শান্তনা খাতুন (১৬) নামের এক নববধূকে যৌতুকের জন্য শ্বাসরোধ করে হত্যা ও সহায়তা করার অপরাধে স্বামী ফয়সাল কোড়ালীকে আটক করেছে চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ।
শুক্রবার ১৫ জানুয়ারি নববধুর পিতা রহিম বাদশা হাওলাদার বাদী হয়ে স্বামী ফয়সাল কোড়ালী কে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী ২০০৩, যৌতুকের জন্য শ্বাসরোধ করে হত্যা ও সহায়তা করার অপরাধে মামলা দায়ের করেন। যার নং- ১৯। শুক্রবার (১৫ জানুয়ারী) চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করে। বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁদপুর মডেল থানার (উপ-পরিদর্শক) এসআই ইসমাইল হোসেন চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন থেকে স্বামী ফয়সাল কোড়ালী কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। মামলার বাদী রহিম বাদশা হাওলাদার জানায়, সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা শান্তনা হত্যার বিচার চাই।
চাঁদপুর মডেল থানার (উপ-পরিদর্শক) এসআই ইসমাইল হোসেন জানায়, তদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মোঃ নাসিম উদ্দিন জানায়, নিহত নববধুর পিতার দায়ের করা মামলায় স্বামী ফয়সাল কে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, চাঁদপুর সদর উপজেলার রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের শান্তনা খাতুন (১৬) নামের এক নববধূর ১৩ জানুয়ারি বুধবার ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের কুড়ালি কান্দি গ্রামে নববধূর বাপের বাড়িতে রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। শান্তনা খাতুন ওই গ্রামের রহিম বাদশা হাওলাদারেরর কন্যা এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের ফয়সাল কোড়ালীর স্ত্রী। খবর পেয়ে ১৪ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে ময়না তদন্তের জন্য শান্তনা খাতুনের লাশ চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে আসে।
শান্তনার ভাই শাকিল জানায়, গত ২ মাস আগে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ফয়সাল কোড়ালীর সাথে পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ হয়। বিয়ের পর থেকে শান্তনা বাপের বাড়িতেই থাকতো এবং স্বামী ফয়সাল নিয়মিত এখানে আসা যাওয়া করতো। ঘটনার দিন বুধবার সকালে শান্তনার বাবা, মা তার স্বামীকে ঘরে রেখে ক্ষেতে কাজ করতে যায়। বেলা ১২টার সময় ছোট বোন সেলিনা স্কুল থেকে বাড়িতে ফিরে এসে ঘরের আড়ার সাথে ওড়না পেচানো শান্তনার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। সাথে সাথে তার ডাক-চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে।
ওই সময় শান্তনার স্বামী বাড়িতে ছিল না। বোন শান্তনা ফাঁসিতে ঝুলানো অবস্থায় থাকলেও আমরা তাকে ঘরে মোড়ার মধ্যে বসা অবস্থায় দেখতে পাই। শান্তনার স্বামী তাকে খুন করে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়।