মদনা গ্রামে ধর্ষণ মামলার আসামীকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযান
এখনো জ্ঞান ফেরেনি একজনের
চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২নং চান্দ্রা ইউনিয়নে তিন কিশোরীকে অচেতন করে ধর্ষণের ঘটনায় পুলিশ আসামিকে ধরতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। এদিকে ঘটনাস্থল পরির্দশন করেছেন পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান, পিপিএম বার।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, চাঁদপুর মডেল থানার ওসি ও ডিবির ওসিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেছেন। এ সময় পুলিশ অভিযুক্ত মিলনকে আটক করতে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালায়।
এদিকে অচেতন তিন মাদ্রাসার ছাত্রী চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে এখনো চিকিৎসাধীন। তাদের একজনের এখনো জ্ঞান না ফেরায় তার অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা যায়।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আসিফ জানান, অচেতন অবস্থায় এই তিন মেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের একজন বিবাহিত। ধারণা করা হচ্ছে সে ধর্ষণের শিকার হতে পারে। পরীক্ষার রিপোর্ট আসলে বিষয়টি স্পষ্টভাবে বলা যাবে।
এদিকে, কিশোরীর মা খাদিজা বেগম বাদী হয়ে ১৩ অক্টোবর মঙ্গলবার চাঁদপুর সদর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এলাকা সূত্রে জানা গেছে, দুই মেয়েকে বাড়িতে রেখে ব্যক্তিগত কাজে ঢাকায় যাওয়ার কারণে সেই সুযোগে পাশের ঘরের বাচ্চু মিয়ার বখাটে ছেলে মিলন রবিবার রাতে ঘরে আসে। এ সময় বখাটে মিলন কোকাকোলার ভেতর নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তাদেরকে খাওয়ার জন্যে জোর করে।
ঘরের ভিতর দুই মেয়ে ও ভাসুরের মেয়েসহ ৩ জন নেশা দ্রব্য মেশানো কোকাকোলা খেয়ে অচেতন হয়ে পড়ে।
বখাটে মিলন সুযোগ বুঝে সোমবার ভোর রাতে ঘরের সিঁদ কেটে গর্ত করে ভিতরে ঢুকে তাদের একজনকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান খানজাহান আলী কালু জাহান আলী কালু পাটোয়ারী জানান, কোকের সাথে নেশা জাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে তিন মেয়েকে খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করেছে। ঘটনাটি জানার পর তাদের সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। এই ঘটনা পুলিশ সুপারকে অবহিত করার পর তিনি রাত দশটায় ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করেন। দেশের প্রচলিত আইনে এ ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত মিলনকে গ্রেপ্তারে সাঁড়াশি অভিযান চলছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।