• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে ইলিশ প্রজনন রক্ষায় নিবন্ধিত ৫১ হাজার ১৯০ জেলের মধ্যে ৫০ হাজার জেলে পাচেছ খাদ্য সহায়তা

প্রকাশ:  ১২ অক্টোবর ২০২০, ১৭:০৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুরে ইলিশ প্রজনন রক্ষার সময় আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এ সময় চাঁদপুর পদ্মা-মেঘনা নদীর মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৯০ কিলোমিটার ইলিশসহ সব ধরণের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। নিষিদ্ধ সময়ে জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর ও হাইমচর উপজেলার নিবন্ধিত ৫১ হাজার ১৯০ জেলের মধ্যে এ বছর ৫০ হাজার জেলে জন্য ২০ কেজি করে ১০ হাজার টন চাল (বিজিএফ) বরাদ্দ এসেছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানাগেছে, জেলের বিকল্প খাদ্য সহায়তা হিসেবে ২০ কেজি করে চাল বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট উপজেলা খাদ্য গুদামে জেলা থেকে চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে। তালিকাভুক্ত জেলেদের মাঝে পদ্মা-মেঘনা উপকূলীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভার মাধ্যমে এসব চাল ১৪ অক্টোবরের পূর্বেই বিতরণ সম্পন করার নির্দেশ রয়েছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুল বাকী বলেন, গত মার্চ-এপ্রিল জাটকা রক্ষা কর্মসূচিতে জেলেদের জন্য বরাদ্দ কম আসলেও ইলিশ প্রজনন রক্ষায় প্রায় শতভাগ জেলের জন্য বরাদ্দ এসেছে। নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে বিতরণ সম্পন্ন হবে।

তিনি আরো বলেন, মা ইলিশের নিরাপদ প্রজনন এলাকা চাঁদপুরকে সরকার সবসময়ই অনেক গুরুত্ব দিয়ে আসছে। যার জন্য ইতোমধ্যে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠি হয়েছে। আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মতলব উত্তর উপজেলায় ২টি, সদর উপজেলায় ৪টি ও হাইমচর উপজেলায় ২টি টাস্কফোর্সের টিম নদীতে ২৪ ঘন্টা কাজ করবে। সড়ক পথে ও জেলার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেক পোস্ট বসিয়ে কাজ করবে জেলা পুলিশ।

উল্লেখ্য, মৎস্য সংরক্ষণ আইনে ২২ দিন ইলিশ আহরণ, বিপণন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, বিনিময় এবং মজুদও নিষিদ্ধ থাকবে। নিষেধাজ্ঞার আইন ভঙ্গ করলে আইনভঙ্গকারীর কমপক্ষে ১ থেকে ২ বছর সশ্রম কারাদ- অথবা সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয় দ- দেওয়া যাবে।