শ্বাসরূদ্ধকর ম্যাচে চেন্নাইকে বিদায় করে প্লে-অফে বেঙ্গালুরু
চেন্নাই সুপার কিংসকে ২১৯ রানের টার্গেট দেওয়া হলেও প্লে-অফে কোয়ালিফাই করার জন্য চেন্নাইয়ের ২০ ওভারে ২০১ রান দরকার ছিলো। শেষ ওভারে এসে ম্যাচটি জেতার জন্য চেন্নাইয়ের ৩৫ রান দরকার থাকলেও ১৭ রান করলেই প্লে অফ নিশ্চিত করতে পারতো পাঁচবারের আইপিএল শিরোপাধারীরা। ধোনি-জাদেজার যৌথ চেষ্টার পরও ভাগ্যবিধাতা সুপ্রসন্ন হয় কোহলির ওপরই। শেষ দুই বলে ১০ রান দরকার থাকলেও সেখানে যশ দয়ালের দুটি অসাধারণ স্লোয়ার বল ব্যাটেই লাগাতে পারেননি জাদেজা।
এর আগে শনিবার (১৮ মে) টসে জিতে বেঙ্গালুরুর মাঠে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে দারুণ সূচনা করেন ভিরাট কোহলি ও ফাফ ডু প্লেসিস জুটি। ২৯ বলে ৪৭ রান করে কোহলি সাজঘরে ফিরলেও অপর প্রান্ত থেকে রানের চাকা সচল রাখেন ফাফ। ৩৯ বলে ৫৪ রান করে ফাফ ডু প্লেসিস আউট হলেও বেঙ্গালুরুর ব্যাটিং লাইন আপের কেউই যেনো আজকের ম্যাচে বিন্দুমাত্র ঢিলেমি দেখাননি।
২৩ বলে ৪১ করেন রজত পতিদার। ১৭ বলে ৩৮ রান করেন ক্যামেরন গ্রিন। দীনেশ কার্তিক এবং ম্যাক্সওয়েল এসে যথাক্রমে ৬ বলে ১৪ এবং ৫ বলে ১৬ রান করে দলকে ২০০ পার করিয়ে আরও ১৮ রান তোলেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই ফিল্ডারকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। এরপর দলীয় ১৯ রানের মাথায় ড্যারিল মিচেল আউট হয়ে গেলে বেশ চাপে পড়ে চেন্নাই। রাচিন রবীন্দ্র এবং আজিঙ্কা রাহানে জুটি চেন্নাইকে আশার আলো দেখায়। আজিঙ্কা রাহানে ২২ বলে ৩৩ রান করে ও রাচিন রবীন্দ্র ৩৭ বলে ৬১ রান করে সাজঘরে ফিরলে রানতাড়া ক্রমশই কঠিন হয়ে আসতে থাকে হলুদ শিবিরের জন্য।
এরপর শিবম দুবের ১৫ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরা রানের চাপে ফেলে দেয় চেন্নাইকে। যদিও রবীন্দ্র জাদেজা এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি মিলে দলকে প্লে-অফে তোলার স্বপ্ন বাস্তবের কাছাকাছি নিয়ে আসেন। ধোনি ও জাদেজা মিলে ঠাণ্ডা মাথায় দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ১৩ বলে ২৫ রান করে ধোনি আউট হলে অপর প্রান্তে জাদেজার ওপর দলকে প্লে-অফে নেওয়ার গুরু দায়িত্ব পড়ে। কিন্তু গতবারের ফাইনালের মতো এবার আর নায়ক হওয়া হলো না জাদেজার। শেষ বলে তখনও ১০ রান দরকার চেন্নাইকে প্লে-অফে কোয়ালিফাই করতে হলে। কিন্তু চেন্নাইকে হারিয়ে নিজেদের শেষ চারের স্বপ্নকে বাস্তব করলো বেঙ্গালুরু। পয়েন্ট সমান থাকলেও রান রেটের ব্যবধানে প্লে-অফের চতুর্থ এবং শেষ দল হিসেবে নাম লেখালো বিরাট কোহলির দল। চেন্নাইয়ের হয়ে চার ওভারে ৬১ রান দিয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকার করেন শার্দুল ঠাকুর। একটি করে উইকেট শিকার করেন তুষার দেশপান্ডে এবং মিচেল স্যান্টনার।
অপরদিকে বেঙ্গালুরুর হয়ে সর্বোচ্চ দুই উইকেট শিকারি যশ দয়াল শেষ ওভারে ধোনি ও জাদেজাকে আটকে দিয়ে জয়ের নায়ক হয়ে ওঠেন। একটি করে উইকেট শিকার করেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মোহাম্মদ সিরাজ, লকি ফার্গুসন এবং ক্যামেরন গ্রিন। ৩৯ বলে ৫৪ রান করা ফাফ ডু প্লেসিস বনে যান ম্যাচসেরা। এই ম্যাচে একটি অতি মানবীয় ক্যাচও ধরেছেন তিনি।