বালিয়ায় মুসল্লির লাইটের আঘাতে মসজিদের ইমাম গুরুতর আহত
চাঁদপুর সদর উপজেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নে নামাজ পড়ার সময় এক উগ্র মুসলি্ল লাইট দিয়ে আঘাত করে মাওঃ মোহাম্মদ উল্যাহ খান (৫৫) নামে মসজিদের ইমামকে রক্তাক্ত জখম করেছে। ১৯ সেপ্টেম্বর শনিবার মাগরিব নামাজের সময় ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড পশ্চিম সাপদী গ্রামের মজিদ খান জামে মসজিদে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হামলাকারী ওই গ্রামের মৃত শফিক খানের ছেলে সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন খানকে (২৭) এলাকাবাসী আটক করে ইউপি সদস্য আবু তাহের খানের মাধ্যমে রোববার সন্ধ্যায় চাঁদপুর সদর মডেল থানায় নিয়ে যায়।
আহত মসজিদের ইমাম জানান, আমি দীর্ঘ ৩৭ বছর ধরে এ মসজিদে ইমামতি করছি। মাগরিবের নামাজের সময়ে মোয়াজ্জিন আযান দেয়া শেষে সকল মুসলি্ল কাতারে দাঁড়িয়ে নামাজের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে এবং আমি নামাজ পড়ার জন্যে সামনে দাঁড়িয়ে যাই। একামত দিতেই পিছনে থাকা মুসলি্ল সালাউদ্দিন পাইপ লাইট হাতে নিয়ে মাথায় আঘাত করেলে আমি ফ্লোরে লুটিয়ে পড়ে যাই। আমাকে মসজিদের মুসলি্লরা সকলে মিলে সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ তাহের খান মসজিদ কমিটির সদস্য মোঃ জসিম খান, নূরুজ্জামান বাবুসহ এলাকাবাসী জানান, আমাদের এ জামে মসজিদের খতিব মাওঃ মোহাম্মদ উল্যাহ খান একজন আদর্শ ও ন্যায় পরায়ন মানুষ। তার হাত ধরে এলাকার অনেক ছেলে-মেয়ে কোরআন শিক্ষা অর্জন করেছে। সে দীর্ঘ অনেক বছর যাবৎ এ মসজিদে ইমামতি করে আসছে। নামাজের মধ্যে এ ধরনের ঘটনা ন্যাক্কারজনক। ইমাম সাহেবের মাথা থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এলাকাবাসী জানান, সালাউদ্দিনের আচার আচরণ উগ্রপন্থীর মতো। ধারণা করা হচ্ছে সে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হবে । পাগলের বেশ ধরে সন্ত্রাসী কার্যকলাপ করছে। তারা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়।
অপরদিকে সালাউদ্দিনের স্বজনরা জানায়, তার মাথা খারাপ থেকে এ ঘটনা ঘটায়। তাকে পাগলের চিকিৎসার জন্যে পাবনা পাঠানোর কথা রয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মুচলেকা নেয়া হয়েছে।