• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শুধুমাত্র ভুল সিদ্ধান্তে ভেস্তে গেলো সরকারের প্রায় দু কোটি টাকা

ভাঙ্গন বিপন্ন রাজরাজেশ্বরবাসী স্বপ্ন সমাহিত

প্রকাশ:  ১৯ জুলাই ২০২০, ১১:৪২
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সদর উপজেলার সম্পূর্ণ চরাঞ্চল সম্বলিত একমাত্র ইউনিয়ন রাজরাজেশ্বর। এ ইউনিয়নবাসীর বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা দুর্যোগে ইউনিয়নবাসীকে নিরাপদে রাখার লক্ষ্যে নির্মিত সাইক্লোন সেন্টার কাম ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়টি অবশেষে পদ্মা নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেলো। সেই সাথে দুর্ভোগ রয়ে গেলো এই ইউনিয়নবাসীর।

মেঘনা নদীর পশ্চিমপাড় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে আবারো পদ্মা-মেঘনার ভয়াবহ ভাঙ্গন চলছে। পদ্মার ভয়াবহ ভাঙ্গনে কয়েক ঘন্টার ব্যবধানে নব-নির্মিত তিন তলা বিশিষ্ট স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টার ভবনটি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।

মাত্র একমাস আগে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন এই ভবনটির নির্মাণ কাজ শেষে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিলো। এ ভবনটি নির্মাণের স্থান নির্ধারণ নিয়ে প্রথম থেকেই বিতর্ক ছিলো। স্থানীয় এলাকাবাসী চেয়েছিলো বর্তমানে বিলীন হয়ে যাওয়া স্থান থেকে আরো ৩ কিলোমিটার ভিতরে নির্মাণ করার জন্যে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার ও একটি মহলের ভুল সিদ্ধান্তে এ স্থানে নির্মিত হয় এ ভবনটি। যার ফলে ইউনিয়নবাসীর শুধু ভবনটি দেখার সৌভাগ্য হলো, আর এটি ব্যবহারের সৌভাগ্য হয়নি। ফলে ভেস্তে গেলো সরকারের ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা টাকা। যা কোনো কাজে আসলো না।

গত শুক্রবার ১৭ জুলাই দিনভর নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙ্গনের ভয়াবহতা ব্যাপকভাবে চলে। এ সময় নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায় তিন তলা বিশিষ্ট নব-নির্মিত রাজরাজেশ্বর ওমর আলী স্কুল কাম সাইক্লোন সেন্টার ভবন।

ঠিকাদার প্রতিনিধি ও ইউপি সদস্য পারভেজ গাজী রনি জানান, ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রায় ৭ থেকে ৮ বার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া এবং ইউনিয়নবাসীর কথা চিন্তা করে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপির ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলা বিশিষ্ট বিদ্যালয় ভবন কাম সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ করা হয়। ভবনের সাইট সিলেকশনের সময় নদী সেখান থেকে ১৫শ' মিটার দূরে ছিল। একমাস আগে কর্তৃপক্ষের কাছে ভবনটি হস্তান্তর করা হয়।

ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হযরত আলী বলেন, ভাঙ্গন শুরু হবার আগেই আমরা সাইক্লোন সেন্টার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ মানুষের বাড়িঘর রক্ষায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কানিজ ফাতেমা এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান বরাবর লিখিতভাবে জানিয়েছি। সাইক্লোন সেন্টারটি ভাঙ্গনে বিলীন হবার খবর শুনে তাৎক্ষণিকভাবে চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান ও উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা কানিজ ফাতেমা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

নদীর তীব্র ভাঙ্গনে গত ক'দিনে প্রায় পাঁচশত বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় উদ্বিগ্ন ও উৎকণ্ঠার মধ্য দিয়ে দিনযাপন করছে রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নবাসী।