চাঁদপুরে সরকারি হাসপাতালে জরুরি বিভাগে চিকিৎসার অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসকের অবহেলায় একজন রোগী মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেলে এই ঘটনার শিকার শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত শাখাওয়াত হোসেন খান সুমন নামে ওই রোগীকে এই হাসপাতালে নিয়ে যান স্বজনরা। জরুরি বিভাগে বেশকিছু সময় রোগী পড়ে থাকলেও এগিয়ে যাননি কর্মরত চিকিৎসক ও সহকারীরা। এ সময় জরুরি বিভাগের কর্মরত ডাঃ সৈয়দ আহমেদ কাজল এবং ব্রাদার জাহাঙ্গীরের অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগ আনেন স্বজনরা। মৃত শাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের বড়ভাই সেলিম খান অভিযোগ করেন, চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পরও তার ভাইকে যথাসময়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে শ্বাসকষ্ট নিয়েই তার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। তিনি আরো অভিযোগ করেন, জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি। সেলিম খান বলেন, সময় মতো তার ভাইকে যদি অক্সিজেন দেওয়া যেতো তা হলে তাকে বাঁচানো যেতো। মৃত্যের সঙ্গে আসা বোন মোমেনা বেগম বলেন, শুধুমাত্র চিকিৎসার অভাবে আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় দায়ীদের শাস্তি দাবি করেন তিনি। এই দুজন আরো বলেন, করোনার ভয় দেখিয়ে আমাদের সঙ্গে জরুরি বিভাগের লোকজন চরম দুর্ব্যবহার করেছে।
বিএমএ চাঁদপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহমুদুন নবী মাসুম ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। হাসপাতালের আরএমও, করোনাবিষয়ক ফোকালপার্সন ডাঃ সুজাউদৌলা রুবেল বলেন, আমরা দিনরাত পরিশ্রম করে রোগীর সেবা দিচ্ছি। কিন্তু কোনো ব্যক্তির ভুলের জন্য তার দায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ নেবে না।
এদিকে, হাসপাতালে রোগী মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত তত্বাবধায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান। তিনি জানান, দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার এই বিষয় কমিটি কাজ শুরু করবে বলে জানান তিনি।
সর্দি জ্বর না থাকলেও শুধুমাত্র শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়ায় সোমবার বিকেলে স্বজনরা শাখাওয়াত হোসেন খান সুমনকে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে সেখানে মারা যান তিনি। চাঁদপুর সদর উপজেলার উত্তর পাইকাস্তা গ্রামের আব্দুল মান্নান খানের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন খান সুমন এলাকায় ক্ষুদে ব্যবসায়ী ছিলেন। তার দুটি শিশু সন্তান রয়েছে।