• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ডাঃ সোহেল আহমেদের অভিব্যক্তি

'ভয় না পেয়ে শরীর ও মনোবল শক্ত রাখুন'

প্রকাশ:  ০৫ জুলাই ২০২০, ১৩:৫৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরের আড়াই শ' শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে অন্যান্য ডাক্তারের মতো করোনায় আক্রান্ত রোগীদের নিয়মিত চিকিৎসা এবং সেবা দিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডাঃ সোহেল আহমেদ। বর্তমানে সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ তথা করোনাভাইরাস নামে এক প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদেরকে নিজেদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে তাঁরা মানবতার চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন।


হাসপাতালের বর্তমান আইসোলেশন ওয়ার্ডটি হাসপাতালের মূল ভবনের দ্বিতীয় তলায়। যেটি আগে পুরুষ ওয়ার্ড ছিলো। কোভিড তথা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের রাখা হয় ওয়ার্ডের একটি অংশে, আর সন্দেহভাজনদের রাখা হয় ওয়ার্ডের আরেক অংশে। জানা গেছে, ডাক্তারদেরকে কয়েকটি টিমের মাধ্যমে ভাগ করে এসব রোগীকে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। প্রতি টিমে ১জন্য কনসালটেন্ট ও ৩ জন মেডিকেল অফিসারসহ কয়েকজন সেবিকা রয়েছেন।

 


এমনি একটি টিম প্রধান হয়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা চালিয়ে যাচ্ছেন হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (মেডিসিন) ডাঃ সোহেল আহমেদ। তিনি নিয়মিতভাবে হাসপাতাল ছাড়াও শহরের স্টেডিয়াম রোডের চাঁদপুর ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার নিজ চেম্বারে সকল রোগীকে এ করোনাকালীন সময়ে চিকৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে করোনাকালীন সময়ে প্রথম থেকেই রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

 


ডাঃ সোহেল আহমেদ অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ৭ দিন যাবত একটি টিমের লিডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। বর্তমানে যারা আইসোলেশন বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছে তারা ভালো আছে। যে সকল রোগী মারা যাচ্ছে তাদের বেশিরভাগই হাসপাতালে আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যে মারা যাচ্ছে। এই শেষ সময়ে আসলে আমাদের কিছুই করার থাকে না। কারণ তারা এত কম অঙ্েিজন পায় যার কারণে তাদের ফুসফুসের অবস্থা ভালো থাকে না, কঠিন হয়ে যায়। করোনাকালীন সময়ের প্রথম থেকেই আমাদের চাঁদপুর জেলা বিএমএর সেক্রেটারী ডাঃ মাহমুদুন নবী মাসুম, আরএমও ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল, সহকারী অধ্যাপক (মেডিসিন) ডাঃ মুহাম্মদ সিরাজুম মুনীর ও সহকারী সার্জন ডাঃ মেহেদী হাসানসহ সকল ডাক্তাররাই রোস্টার করে আন্তারিকতার সাথে করোনা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।

 

তিনি সকলের উদ্দেশ্যে বলেন, এ সময়ে মানুষ যেনো ভয় না পায়, শরীর ও মনোবল যেন শক্ত রাখে। আর করোনার কোনো উপসর্গ দেখলেই যেনো নিকটস্থ হাসপাতালে দ্রুত চলে আছে। তাহলেই দ্রুত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যেতে পারবে। যারা এই রোগ নিয়ে চিন্তিত থাকেন এবং ভয়ে ঘরে বসে থাকেন, কারো সাথে শেয়ার করেন না তাদেরই অবস্থা পরবর্তীতে কঠিনতর হয়ে যায়। এদেরকেই বাঁচানো সম্ভব হয় না। তাই আমি বলবো, এ রোগ নিয়ে ভয়ের কিছু নেই, দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে চলে আসুন।