চাঁদপুরের মেঘনায় ধরা পরলো ৫০০ কেজি ওজনের হাউস মাছ !
চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে আনুমানিক ৫০০ কেজি ওজনের একটি হাউস মাছ (শাপলা পাতা) ধরা পড়েছে। মাছটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে সাড়ে ১৫ ফুট আর লেজের দৈর্ঘ্য প্রায় ৭ ফুট হবে বলে জানান জেলেরা।২ মে শনিবার বিকালে চাঁদপুর বড়ষ্টেশন মাছঘাটে বিক্রির জন্য আড়তে তোলা হয়।
শহরের বড়স্টেশন মাদ্রাসারোড এলাকার জেলে আবুল বাশারের জালে এ মাছটি ধরা পড়ে। তিনি জানান,পদ্মা-মেঘনা নদীর রাজরাজেশ্বর লক্ষ্মীরচরে শনিবার দুপুরে মাছটি আটকা পড়ে।পরে আমরা ৮ জন জেলে মিলে আটকা পড়া মাছটি টেনে নদীর পাড়ে এনেছি। সেখান থেকেই পরবর্তীতে ট্রলারযোগে মাছটি ঘাটে এনেছি বিক্রির উদ্দেশ্যে।
তিনি আরো জানান, বিশাল আকৃতির এই হাউস মাছটি ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। চাঁদপুর লকডাউন না হলে এই মাছটির মূল্যে আরো বেশি হত। বিকেলে মাছটি মাছঘাটে তোলা হলে দেখতে শত শত লোক ভিড় করে। একে অনেকে ‘হাউস’ মাছ বলে জানালেও এটি মূলত ‘শাপলা পাতা’ মাছ। এ ব্যপারে আড়তদার মোঃ কালাম গাজী জানান, এ মাছগুলো বিরল প্রজাতির। এরা সাধারণত নদী ও সাগরের মিলনস্থলে থাকে। বড় বড় নদীতেও কয়েক প্রজাতির এমন মাছ রয়েছে তবে তা খুবই কম।
তিনি আরো জানান, এই মাছটির বয়স আনুমানিক ৬/৭ বছর। আমরা এটি ১’শ ৩০ টাকা করে প্রতি কেজি বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। তবে হাক-ডাকের আগেই একজন এসে এটি ৪০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন।এটি পাইকাররা আড়াই’শ থেকে ৩’শ টাকা বা তার বেশি দামে কেজি প্রতি কেটে কেটে বিক্রি করবে। এ মাছটি ক্রয় করেন ঘাটের মুনছুর আহমেদ বন্দুকশি নামে এক মাছ ব্যবসায়ী।
তিনি জানান, লক ডাউন না হলে মাছটির দাম আরো বেশি পড়তো। তবে যাই হউক-নগদ ৪০ হাজার টাকা দামে মাছটি কিনেছি। এখন এটি নারায়নগঞ্জের আড়তদার রিপনের নিকট পিকআপ ভ্যানে করে পাঠিয়ে দিলাম। এ ব্যপারে চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী মৎস কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ জানান, মাছটির ইংরেজি নাম স্টিংরে এবং বৈজ্ঞানিক নাম হিমানটুরাইমব্রিকাটা। এ মাছগুলো নদী ও সাগরের সঙ্গমস্থলে থাকে। তবে এ দেশের বড় নদীগুলোতেও এদের ১২ থেকে ১৩টি প্রজাতি রয়েছে। স্থানীয়ভাবে একে শাপলা পাতা, শাকুশ, হাউস পাতা মাছও বলে থাকে।