মাছ শুন্য চাঁদপুর মাছ ঘাট
মার্চ এপ্রিল দুমাস জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনায় সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর শুক্রবার (১েমে) থেকে শুরু হয়েছে জেলেদের মাছ ধরা। কিন্তু নদীতে মাছ না পাওয়ায় চাঁদপুরের প্রধান মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বড় স্টেশন মাছঘাট ছিল প্রায় ইলিশ শুন্য।
এর ফলে আড়তের মাছ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা অলস সময় কাটান সারাদিন। ব্যবসায়ীরা জানান, সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অন্যান্য সময় প্রচুর মাছ নিয়ে জেলেরা আসতেন। কিন্তু এবারই দুএকজন জেলেকে দুচারটি মাছ নিয়ে আসতে দেখা গেলেও নদীতে মাছ না পাওয়ায় অধিকাংশ জেলে আসেননি। এর ফলে বাজারের ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা মাছঘাটে সারাদিন অলস সময় কাটান।
চাঁদপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল খালেক মাল বলেন, করোনার সুযোগে আগেই চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনার সব মাছ তুলে নিয়েছে এক শ্রেণির জেলে। এর ফলে এই প্রথম অভ্যায়শ্রম শেষে আজ প্রথমদিন বাজার শুধু ইলিশ নয়, মাছ শুন্য থাকতে হয়। তবে আমরা আশা করছি করোনা দুর্যোগ কেটে সাগরে গিয়ে মাছ ধরে আনবে।
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, জেলেদের মাছ ধরা শুরু হলেও জেলেরা নদীতে সেভাবে নামতে পারবেনা। ১ মে থেকে নদীতে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও নদীতে লকডাউন বলবৎ রয়েছে। এমনকি চাঁদপুরের নদীতে মাছ ধরার জন্য অন্য জেলার জেলে-মাঝি এখানে আসতে পারবে না। আবার এখান থেকেও অন্যত্র যেতে পারবে না কোনো জেলে। স্থলপথের পাশাপাশি নৌপথেও লকডাউন কার্যকরে তৎপর থাকবে প্রশাসন।। তা অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।