পাসের হারে শীর্ষে চাঁদপুর, জিপিএ-৫ বেশি কুমিল্লায়
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডে এবার উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষায় পাসের হারে চাঁদপুর জেলা প্রথম হয়েছে। বেশিসংখ্যক পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে কুমিল্লা জেলা থেকে। উপজেলার মধ্যে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পাসের হার বেশি। জিপিএ-৫ বেশি কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলায়। জিপিএ-৫ পাননি এমন উপজেলার সংখ্যা ১২টি। বুধবার বেলা একটায় কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আসাদুজ্জামান বোর্ডের সম্মেলনকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লা, চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও ফেনী জেলা নিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড। এই ছয় জেলার ৫৪টি উপজেলার ৩৮৬টি কলেজ থেকে এই বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন ৯৪ হাজার ৩৬০ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৭৩ হাজার ৩৫৮ জন। পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৪ শতাংশ। চাঁদপুর জেলার ৬২টি কলেজ থেকে ১৪ হাজার ৩৫৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছেন ১২ হাজার ৪৭৪ জন। পাসের হার ৮৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৩৭ জন। জেলার মধ্যে সবচেয়ে কম পাসের হার ফেনীতে। ফেনী জেলার ৪১টি কলেজ থেকে ৯ হাজার ৮৭০ জন পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয়েছেন ৬ হাজার ২৬৮ জন। পাসের হার ৬৩ দশমিক ৫১। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩৩ জন। কুমিল্লা জেলার ১৫০টি কলেজ থেকে ৩১ হাজার ৭৩ জন পরীক্ষা দিয়ে ২৫ হাজার ৭৬১ জন পাস করেছেন। পাসের হার ৮২ দশমিক ৯০। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৫১৮ জন। জেলার মধ্যে লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে সবচেয়ে কম ৬৭ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।
উপজেলার ভিত্তিতে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ১২টি কলেজ থেকে ১ হাজার ৬৭৬ জন পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয়েছেন ১ হাজার ৬১৬ জন। পাসের হার ৯৬ দশমিক ৪২। জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫৪ জন। শতভাগ পাস করেছেন পাঁচটি কলেজের পরীক্ষার্থীরা। নোয়াখালী জেলার হাতিয়া উপজেলায় পাসের হার সবচেয়ে কম। হাতিয়া উপজেলার পাঁচটি কলেজ থেকে ৮৭২ জন পরীক্ষা দিয়ে কৃতকার্য হয়েছেন ৩৪৫ জন। পাসের হার ৩৯ দশমিক ৫৬।১২টি উপজেলায় কেউ জিপিএ-৫ পাননি
কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১২টি উপজেলা থেকে কোনো পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পাননি। উপজেলাগুলো হচ্ছে কুমিল্লা জেলার মেঘনা, মনোহরগঞ্জ, তিতাস ও লালমাই উপজেলা। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া, চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ ও হাইমচর, লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর, ফেনীর ফুলগাজী ও সোনাগাজী, নোয়াখালীর সেনবাগ। এসব উপজেলার ৪১টি কলেজ এবার পরীক্ষায় অংশ নেয়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ব্যারিস্টার জাকির আহমদ কলেজের অধ্যক্ষ সৈয়দ আবদুল কাইয়ুম বলেন, ‘পরীক্ষার হলে নজরদারির অভাব, খাতা মূল্যায়নে উদার নির্দেশনার কারণে কুমিল্লা বোর্ডে এই ফল হয়েছে। এবার যারা এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়, তারা ২০১৭ সালে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। তখন এসএসসিতে পাসের হার ছিল কুমিল্লা বোর্ডে ৫৯ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। তখন কুমিল্লা বোর্ডের ফল এসএসসিতে সবার নিচে ছিল। হঠাৎ করে পাসের হার বাড়ানোর তাগিদ অনুভব করা হলেও মান কিন্তু বাড়েনি।’কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আসাদুজ্জামান বলেন, বিপর্যয় কাটিয়ে শিক্ষার্থীরা ভালো করেছে। এটা প্রত্যাশিত ফলাফলই।প্রথম আলো