• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

জেলা ও দায়রা জজের বাসভবনে চুরি!

প্রকাশ:  ০৮ জুলাই ২০১৯, ০৯:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জুলফিকার আলী খাঁনের বাসভবেন গভীর রাতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। চোর চক্র জেলার উচ্চপদস্থ এই বিচারকর্তার বাসভবনের বেড রুমের জানালা দিয়ে মশারি কেটে তাঁর স্ত্রীর মোবাইল সেটটি নিয়ে যায়। একই রাতে পাশের বাসা থেকে চুরি হয় একটি মোবাইল সেট ও ল্যাপটপ। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে, জেলার বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ এ কর্তা ব্যক্তির বাসভবনে সিসি ক্যামেরা নেই।
৭ জুলাই রোববার ভোররাতে চাঁদপুর শহরের আব্দুল করিম পাটওয়ারী সড়কস্থ জেলা জজের বাসভবনে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান ও মডেল থানা পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, জেলা জজের বাসভবনের চারপাশের দেয়ালে কয়েক স্থানে ভাঙ্গা রয়েছে। খুব সহজেই চোর চুরি করার সুযোগ রয়েছে। জেলার বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ কর্তা ব্যক্তির বাসা যদি হয় এমন নিরাপত্তাহীনতায় থাকে, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা দাঁড়ায় কোথায়?
জেলা জজ আদালতের কর্মচারীরা জানান, জজ স্যারের বাসায় দায়িত্ব পালন করেন ৪ জন পুলিশ সদস্য। তারা রুটিন অনুযায়ী একই স্থানে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করেন। যদি তারা ভবনের চারপাশে নজর রাখেন এবং হাঁটাহাঁটি করেন তাহলে চোর চক্র এ ধরনের সাহস পায় না।
চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, ধারণা করা হচ্ছে কোনো মাদকাসক্ত চোর কিংবা পেশাগত মোবাইল চোর এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। কারণ, তারা শুধু মোবাইলটিই চুরি করেছে। আমরা এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
চাঁদপুরের জেলা ও দায়রা জজ মোঃ জুলফিকার আলী খাঁন বলেন, চোর চক্র যে ঘটনা ঘটিয়েছে, তার চাইতে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটাতে পারত। আল্লাহ রক্ষা করেছেন। কারণ, জানালার ফাঁক দিয়ে অস্ত্র দিয়ে হত্যার ঘটনাও ঘটানো সম্ভব। শুধুমাত্র আমার স্ত্রীর মোবাইল চুরি হয়েছে। যদি আমার মোবাইল কিংবা অন্য জরুরি জিনিসপত্র চুরি হতো, তাহলে বড় ধরনের সমস্যায় পড়তাম।
তিনি আরো জানান, আমার বাসভবনের চারদিকে যে দেয়াল রয়েছে, তা খুবই নীচু। আমি বাসভবনসহ দেয়ালের সংস্কার কাজ করার জন্যে প্ল্যান পাস করিয়ে চাঁদপুর গণপূর্ত বিভাগকে একাধিকবার জানিয়েছি, কথা বলেছি। তারা এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। সিসি ক্যামেরার চাহিদা দেয়া হয়েছে, সেটাও করেনি গণপূর্ত বিভাগ।
জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডঃ শেখ জহিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৬ সালের ৭ জুলাই জেলা ও দায়রা জজ স্যারের বাংলো অফিসের বাউন্ডারি ওয়ালের কাটা তারের বেষ্টনী নতুনভাবে সংযোজন করা হয়েছে। এ বাসার দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙ্গে পড়েছে। এদিক দিয়ে চোর ভেতরে প্রবেশ করে বড় ধরনের চুরিসহ যে কোনো দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে বলে গণপূর্তকে জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা এ ব্যাপারে কোনো নজর দিচ্ছে না। জেলা বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার বাসায় এ ধরনের ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলেছে এবং খুবই দুঃখজনক।  

 

সর্বাধিক পঠিত