• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মহামায়ায় সন্ত্রাসী হামলায় পিতা-পুত্র রক্তাক্ত জখম ॥ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশ:  ১১ জুন ২০১৯, ০৯:১৯
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে মাদক সেবনে বাধা দেয়ায় বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে এলাকার চিহ্নিত কিছু মাদক কারবারী ও একদল বখাটে যুবক। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে মাদক কারবারীদের ধাওয়া দিয়ে তাদের উপর পাল্টা আক্রমণ করেন। এলাকাবাসীর ধাওয়ায় সন্ত্রাসীরা তাদের কাছে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র রেখে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, পবিত্র ঈদুল ফিতরের পরের দিন গত ৬ জুন বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় মহামায়া হানাফিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এলাকার কিছু চিহ্নিত মাদক কারবারী ও বখাটে প্রকাশ্যে মাদক সেবনকালে বিদ্যালয়ের পেছনে পাটওয়ারী বাড়ির মোঃ আক্তারুজ্জামান পাটওয়ারীর বড় ছেলে মোঃ নুরুজ্জামান পলাশ তাদের বাধা দিলে মাদকসেবীরা তাকে গালমন্দ করে চলে যায়। এর এক ঘন্টা পর দুপুর ৩টায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওইসব মাদক কারবারী ও বখাটেরা নুরুজ্জামান পলাশের উপর আক্রমণ করে তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় নুরুজ্জামান পলাশের ডাক চিৎকারে তার বাবা মোঃ আক্তারুজ্জামান পাটওয়ারী এগিয়ে এলে তাকেও লাঠি এবং লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক জখম করে। পরিস্থিতি ভয়াবহ দেখে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে সন্ত্রাসীদের উপর পাল্টা আক্রমণ করে দু’জনকে পিটিয়ে আহত করে। এ অবস্থায় স্থানীয়রা চাঁদপুর মডেল থানায় খবর দিলে থানার এসআই সাদেকুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে এসে তাদের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে আহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কর্মরত চিকিৎসক আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিলে নুরুজ্জামান পলাশের অবস্থা অবনতি দেখে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন এবং তার পিতা আক্তারুজ্জামান পাটওয়ারী চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। এ ঘটনায় আক্তারুজ্জামান পাটওয়ারীর ছোট ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ সামছুজ্জামান পাটওয়ারী বাদী হয়ে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড লোধেরগাঁও গ্রামের এমদাদ বেপারীর ছেলে রিয়াজ বেপারী, ছাদেক বেপারীর ছেলে টুটুল বেপারী, একই এলাকার মেহেদী বেপারী, মিজান মিজির ছেলে রাজু মিজি, আক্তার মিয়ার ছেলে এমরান মিয়াসহ অজ্ঞাত আরো ১০ জনকে আসামী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪, তারিখ ০৭/০৬/১৯খ্রিঃ
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, এ ইউনিয়নের কিছু চিহ্নিত মাদক কারবারীরা অত্র এলাকার তরুণ ও যুব সমাজকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাচ্ছে। অবিলম্বে এসব মাদক কারবারী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং উঠতি বয়সের ছেলেদের সু পথে আনতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। সেই সাথে বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীর নিজ ইউনিয়ন হিসেবে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নকে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো ট্রলারেন্স ঘোষণা করতে পুলিশ প্রশাসনের জোরালো ভূমিকা ইউনিয়নবাসী প্রত্যাশা করেন।