• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫, ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

ফরিদগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে ॥ পৌর মেয়রের ভূমিকায় সকল বাধা অপসারণ

প্রকাশ:  ২৪ মে ২০১৯, ১২:১৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

ফরিদগঞ্জ পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের পশ্চিম বড়ালী গ্রামের মন্তি খাঁর বাড়ির সামনে থেকে একই গ্রামের হাওলদার বাড়ি পর্যন্ত প্রায় অর্ধ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা রোজা রাখার ক্লান্তি ভুলে একদল যুবকের স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নূতন করে নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের পথে। পঞ্চাশ বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত অর্ধকিলোমিটার সড়কটি আজ দৃশ্যমান। পূর্বপুরুষরা নিজেদের অন্তঃবিভেদের কারণে যে সড়কটি নির্মাণ করতে পারেননি, এসব যুবক তা নির্মাণ করে দেখিয়ে দিচ্ছেন। অথচ এসব যুবকের কেউই এ কাজের জন্যে পেশাদার শ্রমিক নন। বরং দু’ একজন ছাড়া অধিকাংশই ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও চাকুরিজীবী। প্রতিদিন তারাবীর নামাজের পর থেকে সাহরী খাওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত কাজ করে চলেছেন এসব যুবক। তাদের পেছনে যে দুটি লোক কাজ করছেন তাদের একজন হচ্ছেন ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহফুজুল হক এবং অপরজন ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল।
এক সপ্তাহ পূর্বে সড়কটি নির্মাণ কাজ শুরু হলেও এখন প্রায় শেষের পথে। পেছনে থেকে যুবকদের শক্তি ও সাহস যোগানো এবং জমি নিয়ে বিভেদ দূর করতে সামনে থেকে ঝামেলামুক্ত করেছেন পৌর মেয়র মাহফুজুল হক। গত বুধবার তিনি সড়কটির শেষ অংশের কিছু গাছ কেটে এবং দুই পাশের লোকজনের মান-অভিমান ভাঙ্গিয়ে বৃহত্তর স্বার্থে সড়কটি নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখেন।
স্থানীয় গ্রামবাসীদের মতে, ৭ ফুট প্রস্থ ও অর্ধ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যরে এ রাস্তাটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে ভুক্তভোগীদের প্রায় অর্ধশত বছরের লালিত স্বপ্নপূরণ হতে যাচ্ছে। নানা সময়ে সড়কটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হলেও নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে রাস্তাটি নির্মাণের কার্যকর পদক্ষেপ কেউই নেয়নি।
সড়কটি নির্মাণ কাজের পেছনের একজন ডাঃ আসাদুজ্জামান জুয়েল বলেন, যুবকদের উদ্যোগ কখনো বৃথা যায় না। আর তার সাথে যদি একজন সাহসী জনপ্রতিনিধি থাকে তবেই লক্ষ্য পূরণ নিশ্চিত হয়। যে কাজটি করেছেন পৌর মেয়র মাহফুজুল হক।
সড়কটি নির্মাণ কাজ শেষের দিকে, এ দৃশ্য দেখে সন্তুষ্টির ঢেঁকুর তুলে  মেয়র মাহফুজুল হক বলেন, গত পঞ্চাশ বছর ধরে এ এলাকাসহ পৌর ও ইউনিয়ন পরিষদের অনেক জনপ্রতিনিধিই সড়কটির বাস্তব রূপ দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। আমার কাছে সড়ক নির্মাণের  প্রস্তাব ও যুবকদের স্বেচ্ছাশ্রমের কাজ করার কথা কানে আসার সাথে সাথে আমি সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেই। আমি প্রায় প্রতিদিনই এখানে এসে দাঁড়িয়ে থেকে সকল বাধা অপসারণের জন্যে চেষ্টা করেছি। জনগণ আমার ডাকে সাড়া দিয়ে বিভেদ ও মান অভিমান ভুলে জমি দেয়ায় সড়কটি আজ দৃশ্যমান। আমি পৌরসভার এডিবি থেকে সহায়তা দিয়ে এটিকে আরো শক্ত করে তৈরির জন্যে চেষ্টা করবো। তিনি বলেন, এটি নিয়ে পৌর এলাকার তিনটি রাস্তা নূতনভাবে নির্মিত হলো। যা ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিলো।