• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরের সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে পরিবার পরিকল্পনার অবহিতকরণ কর্মশালা

চাঁদপুর জেলার আয়তন হিসেবে জনসংখ্যা অনেক বেশি : অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জামাল হোসেন

চাঁদপুর পরিবার-পরিকল্পনা সারাদেশে তৃতীয় অবস্থানে : উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ

প্রকাশ:  ২৩ মে ২০১৯, ১০:২৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

পরিবার-পরিকল্পনা, আইইএম ইউনিট-এর উদ্যোগে চাঁদপুরের প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার চাঁদপুর রোটারী ভবনে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার বিষয় ছিলো-পরিকল্পিত পরিবার গঠন, বাল্যবিয়ে ও কৈশোরে গর্ভধারণ প্রতিরোধ, কিশোর-কিশোরীদের প্রজজন স্বাস্থ্য, পুষ্টি, নিরাপদ মাতৃত্ব ও নবজাতকের যতœ এবং জেন্ডার।
বিষয়গুলোর ওপর তথ্যমূলক নাতিদীর্ঘ আলোচনা করেন অনুষ্ঠানের সভাপতি পরিবার-পরিকল্পনা অধিদপ্তর চাঁদপুর-এর উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ জামাল হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুরের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান ও আইইএম ইউনিটের উপ-পরিচালক সতী রাণী দে। উপস্থাপনায় ছিলেন সদর উপজেলা মা ও শিশু এবং পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডাঃ এমএ গফুর মিয়া।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, চাঁদপুর জেলার মোট আয়তন হচ্ছে ১৭শ’ ৪ বর্গকিলোমিটার। এর মধ্যে নদীই হচ্ছে ২শ’ বর্গকিলোমিটার। চাঁদপুর জেলার মোট সংখ্যা হচ্ছে ২৬ লাখ। আয়তনের হিসেবে এই জনসংখ্যা অনেক বেশি। অবশ্য জনসংখ্যা বাড়ার কারণও আছে। এ জেলার চারটি উপজেলাই হচ্ছে নদী তীরবর্তী। আরো রয়েছে চরাঞ্চল। নদীসিকস্তি মানুষ এবং চরাঞ্চলে দরিদ্রতা ও অসচেতনতার কারণে এসব এলাকায় বাল্যবিবাহও হচ্ছে, জনসংখ্যাও বাড়ছে। তাই ওইসব এলাকার জনগোষ্ঠীর মাঝে বাল্যবিবাহের কুফল, দুটি সন্তানের বেশি হলে কী হয়, পরিকল্পিত পরিবার এবং সুখী দম্পতি সম্পর্কে ধারণা তুলে ধরতে হবে। তাদেরকে সচেতন করে তুলতে হবে। আর এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারেন। সাংবাদিকদের লিখনি এবং প্রচার-প্রচারণায় অনেক সমস্যা থেকে উত্তরণ হওয়া যায়। তাই আমি বলবো, প্রিন্ট এবং ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের নিয়ে আজকের এই অবহিতকরণ কর্মশালা বেশ গুরুত্ব বহন করে।
সভাপ্রধানের বক্তব্যে ডাঃ মোঃ ইলিয়াছ বলেন, আমাদের কনসেপ্ট আগের থেকে পরিবর্তন হয়েছে। আগে আমরা পরিবার-পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করতাম। আর এখন আমরা বলছি পরিকল্পিত পরিবার গঠন বিষয়ে। অর্থাৎ একটি পরিবারকে পরিকল্পনার সাথে সাজাতে হবে। এ ক্ষেত্রে আমাদের স্লোগান হচ্ছে-ছেলে হোক, মেয়ে হোক দুটি সন্তানই যথেষ্ট এবং প্রথম সন্তান ২০-এর আগে নয়, দ্বিতীয় সন্তান ২৪-এর আগে নয়।
বাল্য বিয়ে সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশে এখনো ১৫ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ে হয় ৩০ ভাগ, আর ১৮ বছরের আগে বিয়ে হয় ৫৯ভাগ। তাই বাল্যবিবাহ রোধ করার বিষয়ে আমরা এখনো সন্তোষজনক অবস্থায় পৌঁছাতে পারিনি।
ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান ডিজি মহোদয় আসার পর প্রতিটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডেলেভারির প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি সরবরাহ করা হয়েছে। তিনি পরিবার-পরিকল্পনা চাঁদপুর-এর কার্যক্রম প্রসঙ্গে বলেন, আমি দায়িত্বে এসে চাঁদপুরকে পেয়েছি সারাদেশে ৬৩ তম অবস্থানে, আর আমি দায়িত্ব নেয়ার পর সেখান থেকে তুলে এনে চাঁদপুর পরিবার পরিকল্পনাকে ৩য় অবস্থানে এনেছি।
অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ পাটোয়ারী, সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, ইকরাম চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া জীবন, সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্র ধর, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন মিলন, সোহেল রুশদী ও সাংগঠনিক সম্পাদক এএইচএম আহসান উল্লাহ।  

 

সর্বাধিক পঠিত