• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ৩১ মে ২০২৫, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীরপাড় দখল করে দোকান ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ

প্রকাশ:  ২০ মে ২০১৯, ১৩:৪৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরে ডাকাতিয়া নদীর পাড় দখল করে আবারো মার্কেট নির্মাণ করছে দখলবাজ চক্ররা। বিআইডব্লিউটি এর নদীর পাড়ের জায়গা দিনের পর দিন দখল হয়ে যাচ্ছে। চাঁদপুর পুরান বাজার ১ নং ঘাট ডাকাতিয়া নদীর পাড়ে বিআইডব্লিউটির জায়গা দখল করে মার্কেট নির্মাণ করছে।
খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে বিআইডব্লিউটি এর টিআই মাহাতাব উদ্দিনও নৌ পুলিশের এসআই গিয়াস উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ স্থাপনার কিছু অংশ ভেঙে ফেলে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চলে যাওয়ার পরেই দখলবাজ চক্ররা পুনরায় ইট বালু ও সিমেন্ট এনে কাজ শুরু করে পাকা স্থাপনা নির্মান করে যাচেছ।
জানা যায়, পুরান বাজারের কয়েকজন কালোবাজারি ঐক্যবদ্ধ হয়ে নদীর পাড়ে জায়গা দখল করে দোকান ও গোডাউন তৈরির কাজ শুরু করে।  প্রতিদিন রাতে মেঘনা নদীতে এই কালোবাজারি চক্ররা বিভিন্ন জাহাজ থেকে অকটেন, পেট্রোল,ডিজেল,পাম ওয়েল,চিনি সহ বিভিন্ন মালামাল পাচার করে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করছে।
 তারা রাতে এসব মালামাল নৌকা দিয়ে এনে নদীর পারে নিরাপদ স্থানে রাখার জন্যই সরকারি জায়গায় দখল করে অবৈধভাবে গোডাউন নির্মাণ কাজ করে যাচেছ।
   স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পুরান বাজারের চোরাকারবারি গাল কাটা আলী, মোহাম্মদ আলী খান ও পাঁচ পাই কামাল সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে সামনে দোকান পিছনে গোডাউন নির্মাণ কাজ করছে। তাদের সাথে প্রতিযোগিতা দিয়ে পুরান বাজারের কালোবাজারী সাদ্দাম আরেকটি গোডাউন নির্মাণ করছে।
 এসব অবৈধ দখলদাররা সরকার দলীয় নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এভাবে দিনের পর দিন সরকারি সম্পত্তি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করছে। কিছুদিন পরেই আবার সেই স্থাপনা অন্য ব্যক্তির কাছে লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দিচেছ তারা।
পুরান বাজারে ডাকাতিয়া নদীর পাড় এভাবে দখলবাজ চক্ররা দখল করে নেওয়ায়  জনমনে মারাত্বক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। নদীর পাড়ের এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে দখলমুক্ত করে দখলবাজ চক্রের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা প্রয়োাজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।
এ ব্যাপারে  নদীপাড়ের জায়গার দায়িত্বে থাকা চাঁদপুর নৌ-বন্দর কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,জেলা প্রশাসনের সাথে বিআইডব্লিউটি  এর  নদী পাড়ের জায়গা নিয়ে জরিপ করা হচেছ। সিমানা নির্ধারনের পরেই সকল স্থাপনা উচেছদ করা হবে।

সর্বাধিক পঠিত