ক্ষত-বিক্ষত বিষ্ণুদী সড়ক ॥ জনদুর্ভোগ চরমে
ঈদের পরপরই সংস্কার কাজ শুরু হবে : ওয়ার্ড কাউন্সিলর


চাঁদপুর পৌরসভার ৯ ও ১৫নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী বিষ্ণুদী রোডটি ক্ষত-বিক্ষত। এ সড়কে চলাচলকারী হাজার হাজার মানুষ যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিষ্ণুদী সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কটি খুবই বেহাল অবস্থায় রয়েছে। চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়ক থেকে বিষ্ণুদী সড়কটি শুরু হয়ে তরপুরচ-ী ইউনিয়ন হয়ে কল্যাণপুর ইউনিয়নের বিটি সড়কের সাথে সংযুক্ত হয়। এ সড়টির বিভিন্ন স্থান জুড়ে দেখা যায় ক্ষত-বিক্ষতরূপ। মাঝে মাঝে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। আবার ম্যানহোলের ঢাকনা ভেঙে গেছে। এ সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন চাঁদপুর পৌরসভার ৯ ও ১৫নং ওয়ার্ড এবং তরপুরচ-ী ইউনিয়নের সাধারণ জনগণসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জসিম উদ্দিন ঢালী জানান, আমি প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে আসা-যাওয়া করি। এই এলাকা থেকে চাঁদপুর সরকারি কলেজের স্টাফ, ব্যাংক কর্মকর্তা, হাইস্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী প্রতিদিন যাতায়াত করে। সড়কটি দিয়ে দু’টি গাড়ি যখন ক্রস করে তখন রাস্তার পাশে খাদের কিনারে এমনিভাবে কাত হতে হয়, মনে হয় যেন খাদে উল্টে পড়ে যাবে। তখন ভয়ে বুক ধড়ফড় করে। এ সময় অনেকে আল্লাহর নাম জপেন।
আনন্দ বাজারের ব্যবসায়ী মোঃ মনির হোসেন গাজী জানান, আমরা প্রতিদিন এই রোড দিয়ে আমাদের দোকানের মালামাল খুব কষ্ট করে আনতে হয়।
অটোবাইকের ড্রাইভার অলি জানান, এই রাস্তায় গাড়ির এক্সেল, টেংরি ও চাকার ভীষণ ক্ষতি হয়। এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায় প্রতিদিনই ঘটছে দুর্ঘটনা। হতাহতের ঘটনাও ঘটছে। চিকিৎসাকেন্দ্রে যাওয়ার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়। তাছাড়া স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগামী শিক্ষার্থীরা ধূলাবালুর কারণে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
অবিলম্বে এ সড়কটি মেরামত করা না হলে যে কোনো মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। হতে পারে প্রাণহানি। গত বছর বিষ্ণুদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একছাত্রের এই সড়কে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়।
চাঁদপুর পৌরসভার ৯ ও ১৫নং ওয়ার্ড এবং তরপুরচ-ী ইউনিয়নের বিশাল জনগোষ্ঠীর একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম সড়কটি দ্রুত সংস্কারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান ওই এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
চাঁদপুর পৌরসভার ১৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ মালেক বেপারী বলেন, বিষ্ণুদী সড়কটি সংস্কারের জন্যে টেন্ডার হয়েছে। ঈদের পরপরই কাজ শুরু করা হবে।