• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

কচুয়ায় পাকা করা রাস্তা দুই দিনে ফাঁকা

প্রকাশ:  ১৭ মে ২০১৯, ১৪:২১ | আপডেট : ১৭ মে ২০১৯, ১৪:২৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

কচুয়া উপজেলার মনপুরা গ্রামের একটি কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের কাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে। সে কাঁচা রাস্তার ২০১৯ সালের মে মাসে পাকা কাজ শুরু হয়। মঙ্গলবার রাস্তাটি পাকাকরণের ঢালাই দেওয়া হলেও বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসী এসে দেখেন পিচ ঢালাই রাস্তা কার্পেটের মতো উঠে যাচ্ছে। এভাবে কাঁচা রাস্তা পাকাকরণের দুই দিনেই ফাঁকা হয়ে গেল।
বিষয়টি নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্থানীয় ঠিকাদার মোঃ সুমন প্রধানীয়া। তিনি বলেন, এলাকার কিছু লোকজন হাত দিয়ে পিচ ঢালাই উঠিয়ে ফেলেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, কচুয়া-কাশিমপুর সড়কের মনপুরা গ্রামের ভেতরে ৪ কিলোমিটার রাস্তা পাকাকরণের টেন্ডার হয় ২০১৫ সালে। শুরু থেকেই নানা অনিয়ম ও নিম্নমানের ইট সামগ্রী (উপকরণ) দিয়ে কাজ করে ঠিকাদার রাস্তা করে ফেলে রাখে প্রায় দুই বছর। এতে পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হয়।
স্থানীয় অধিবাসী  মোহাম্মদ সাকিব বলেন, মন্থর গতির এই কাজে ব্যবহৃত হয় ইট-বালু ও পাথর। এগুলো সবই নিম্নমানের। রাস্তার দু’পাশের রেলিংয়ের ক্ষেত্রে নম্বরের ইট ব্যবহারের বদলে ব্যবহার করা হয় পিকেট, মাটি দিয়ে যা দাঁড় করিয়ে দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, পিচ ঢালাই দেয়ার আগে রাস্তা পাকাকরণে বিটুমিন না দিয়ে পিচ ঢালাই দিয়ে যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার। সড়কটির বিষয়ে বিস্তারিত জানতে একাধিকবার উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তার মুঠোফোনের সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নীলিমা আফরোজ বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। স্থানীয় প্রকৌশলীকে সরেজমিনে দেখে কাজ নি¤œমানের হলে কাজ বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
যতোদূর জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার  মনপুরা গ্রামের ভেতরে ৪ কিলোমিটার সড়কের জন্যে প্রায় তিন কোটি টাকা ২০১৫-১৬ অর্থবছরে বরাদ্দ দেয়া হয়।
এদিকে মনপুরা গ্রামের নতুন নির্মাণাধীন রাস্তার পিচ ঢালাই হাত দিয়ে উঠে যাওয়ার ঘটনা বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের ঘটনায় কচুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান শিশির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, আমি প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে দেখেছি। কাজ নি¤œমানের হওয়ায় পুনরায় এ কাজ করার জন্যে উপজেলা প্রকৌশলীকে নির্দেশ দিয়েছি।