অবশেষে পৌরসভাই ভেঙ্গে দিলো বিপজ্জনক সেই ভবনটির অংশ


চাঁদপুর শহরের শপথ চত্বর এলাকায় রেলওয়ে বায়তুল আমিন জামে মসজিদ সংলগ্ন জনৈক জাহাঙ্গীর ও এমএ হাসান লিটন মৃত্যুকূপের ন্যায় যে বিপজ্জনক একটি ভবন করছিলেন, সে ভবনটির অবৈধ অংশটুকু ভেঙ্গে দিয়েছে চাঁদপুর পৌরসভা। এতে চাঁদপুর শহরবাসী এবং সংশ্লিষ্ট এলাকাবাসী পৌর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছে।
গত মাসে দেখা গেলো যে, গুয়াখোলা রাস্তার মাথায় সাবেক পাটওয়ারী ফার্মেসীর স্থলে সরু চার তলা একটি ভবন করা হচ্ছে। এ ভবনটি একই এলাকার ব্যবসায়ী ও বাসিন্দা জাহাঙ্গীর এবং এমএ হাসান লিটন করছেন বলে জানা গেছে। সরজমিনে দেখা গেলো যে, ভবনটির পূর্বাংশে তৃতীয় ও চতুর্থ তলার সামনের অংশ ১১ হাজার ভোল্ডের বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন এবং খুঁটি জড়িয়ে করা হচ্ছে। অর্থাৎ ভবনটির ভেতরেই বিদ্যুতের ওই লাইন এবং খুঁটি। এ দৃশ্য যেই দেখেছে সেই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে চোখ বড় করে তাকিয়ে বলেছে, ‘আরে বাবা এটা তো এক ভয়ঙ্কর মৃত্যুকূপ! কীভাবে এ ভবনটি হচ্ছে ? কেউ কি দেখে না ? যারা করছে তারাও কি বিবেকবোধ সব হারিয়ে ফেলেছে ?’ এই ভয়ানক দৃশ্যের ছবিসহ নানাজনের বিরূপ মন্তব্যে ফেসবুকে ঝড় ওঠে। এ নিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠসহ স্থানীয় পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে এমনকি টিভিতেও সংবাদ হয়েছে। চাঁদপুর বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে ভবন মালিককে চিঠিও দেয়া হয়েছে। তাতেও মালিক পক্ষের বোধোদয় হয়নি। বরং তারা তখন জেদ ধরে বলেছে, আমরা আমাদের জায়গায়ই ভবন করছি। বিদ্যুতের খুঁটিটি উপরের দিকে একপাশে হেলে গেছে। তাই এটিকে (খুঁটিকে) বিদ্যুৎ বিভাগকেই সরাতে হবে। পরে বিদ্যুৎ বিভাগের আবেদনের আলোকে চাঁদপুর পৌরসভা ওই ভবনটির উপরের ওই অংশটি ভেঙ্গে ফেলে যে অংশের ভেতরে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ছিলো।