পেশা বা বর্ণের কথা ভেবে হীনমন্যতায় না ভোগে মনের শক্তিতে বলীয়ান হতে হবে : জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান


‘কোনো পেশাকেই খাটো করে দেখবেন না। সততার সাথে যে পেশাই করুন না কোনো সেটি পবিত্র। কেউ জুতা সেলাই করবেন, কেউ ময়লা পরিষ্কার করবেন, কেউ দর্জির কাজ করবেন। এটাই তো সমাজের রীতি। তাই যে যে কাজই করবেন, আমাকে দেখতে হবে তিনি সে কাজটি তার পবিত্র পেশা ভেবে সততার সাথে করেন কি না। পেশার মূল্যায়ন হয় এ জায়গা থেকেই। আর পৃথিবীতে কালো-ধলো ভেদাভেদ এখন আর নেই। আমি দেখতে খুবই কুৎসিত, কালো এটি ভেবে নিজেকে ছোট ভাবার কোনো কারণ নেই। বরং বড় তখনই হবেন যখন নিজের পেশা এবং বর্ণের কথা ভেবে হীনমন্যতায় না ভুগে মনের শক্তিতে বলীয়ান হবেন, মনের দিক দিয়ে বড় হবেন।’ বেদে, হরিজন, মুচিসহ সমাজের অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে উপদেশমূলক এসব কথা বললেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান।
তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে চাঁদপুর জেলা সমাজসেবা কার্যালয় আয়োজিত ওইসব জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৫০ দিনব্যাপী সেলাই এবং কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এ দুটি বিষয় ছাড়াও উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের মধ্য থেকে ড্রাইভার হতে কারা আগ্রহী এমন তালিকা নিয়ে তাদেরকে ফ্রি ড্রাইভিং শেখানের উদ্যোগ সাথে সাথে নেন জেলা প্রশাসক।
৫০ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে ২২ জন বেদে, ১০ জন হরিজন, ১০ জন শীল ও ধোপা, ৪ জন মুচি ও ঋষি এবং ৪ জন জেলেসহ মোট ৫০ জন। এদের প্রত্যেককে সার্টিফিকেটসহ ২৫ হাজার টাকার চেক দেয়া হয়।
জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রজত শুভ্র সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, স্বাধীনতা পদকপ্রাপ্ত নারী মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী, সদর সার্কেল এএসপি শাকিলা ইয়াছমিন সূচনা ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর।