রাস্তায় কোনো অপ্রাপ্ত বয়স্ক চালক পেলেই গাড়ি বাজেয়াপ্ত : জেলা প্রশাসক

‘জীবন বাঁচান-আওয়াজ তুলুন’ এ আহ্বানের মধ্য দিয়ে চাঁদপুরে পালিত হয়েছে ৫ম বিশ্ব নিরাপদ সড়ক সপ্তাহ-২০১৯। এ উপলক্ষে গতকাল ৯ মে বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ ) চাঁদপুর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। চাঁদপুর জেলা পরিবহন মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধি সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র নাছির উদ্দিন আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ।
বিআরটিএ, চাঁদপুর কর্মকর্তা প্রকৌশলী পর্কন চৌধুরীর পরিচালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ ফয়সাল আহমেদ, চাঁদপুর জেলা বাস-মিনিবাস পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ বাবুল মিজি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিএনজি স্কুটার শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজিঃ নং ১৯৩৮) সভাপতি মোঃ কামাল হোসেন, জেলা ট্রাক-ট্রাংকার শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম মন্টু, ট্রাক-লরি শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান ভূঁইয়া, জেলা সিএনজি স্কুটার মালিক সমিতির মোঃ শাহাবুদ্দিন, জেলা সিএনজি স্কুটার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি কাজী ওমর ফারুক প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, বিআরটিএ কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন পর্যায়ের পরিবহন শ্রমিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক তাঁর বক্তব্যে বলেন, নিরাপদ সড়ক বাস্তবায়নে সবার আগে দরকার নিজেদের সচেতন হওয়া। মেইন রোডে গাড়ি থামানো যাবে না। নির্দিষ্ট একটা জায়গা মার্কিং করে দেয়া হবে, গাড়িগুলো কেবল সেখানেই থামবে। মেয়র মহোদয়কে অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনি লোকজন দেন, আমাদের ম্যাজিস্ট্রেটগণ দিনরাত কাজ করতেছে। ঈদের আগে যতগুলো রাস্তা জনসাধারণের যাতায়াতের জন্যে ইজি করা যায় আমরা তা করবো। এখন থেকে কিছু কিছু জায়গায় আমরা কঠোর হবো। রাস্তার মাঝখানে যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে টাকা তোলা যাবে না। ১৮ বছরের নীচে কাউকে গাড়ি চালাতে দেয়া হবে না। এই বয়সের চালক পেলে ওই গাড়ি জব্দ করে তা ধ্বংস করে দেয়া হবে। কারণ শিশু-কিশোর চালককে জেলে দেয়া যাবে না। এছাড়া চাঁদপুর শহরে মোটর চালিত রিক্সা চলতে দেয়া হবে না। এ ধরনের রিক্সা পাওয়া গেলে সেটি ধ্বংস করে দেয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সিএনজি স্কুটার ও অটো যেগুলো বৈধ আছে আমরা সে সকল যানবাহনের চালকদের ট্রেনিং দেবো। সরকার থেকে আমরা প্রোগ্রাম নিচ্ছি। ইউনিয়ন পর্যায়েও এ ট্রেনিং দেয়া হবে। বৈধ চালকদের প্রশিক্ষণের জন্যে আমরা সাহায্য সহযোগিতা করবো। তারা যেনো ড্রাইভিং লাইসেন্স পাবার যোগ্যতা অর্জন করে । ড্রাইভিং লাইসেন্স শিথিলতার কোনো সুযোগ নেই। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অবৈধ গাড়ি ধরা শুরু হয়ে গেছে। আমরা ব্যাপকভাবে নামবো। এক্ষেত্রে চাঁদপুর পৌরসভা এবং মালিক শ্রমিক সংগঠনগুলো আমাদের সহযোগিতা করতে হবে। সকলের সহযোগিতায় আমরা সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো ইনশাল্লাহ