• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ১২ জুন ২০২৫, ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকীতে চাঁদপুরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

রবীন্দ্র-নজরুলের চেতনায় আমরা বাংলাদেশকে আরো আলোকিত করতে চাই : জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান খান

প্রকাশ:  ০৯ মে ২০১৯, ১০:৫৬
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাজেদুর রহমান বলেছেন, রবীন্দ্রনাথ ছিলেন বাঙালিকে পথ দেখানোর অন্যতম পথিকৃৎ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম এসব নামের আলাদা বৈশিষ্ট্য রয়েছে। মানবজাতিকে অন্ধকার থেকে আলোকিত করার জন্যে আলোর দিশারী হয়ে কাজ করেছেন এসব মহামানব। বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁদেরই একজন। যিনি একাই একটি সাংস্কৃতিক বলয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মানুষের কল্যাণ ও বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য। তাই রবীন্দ্র-নজরুলের চেতনায় আমরা বাংলাদেশকে আরো আলোকিত করতে চাই। লক্ষ্য একটাই সমস্ত পথ ধরে আমরা মুক্তির পথে যেতে চাই। চাঁদপুরে রবীন্দ্রনাথের আলোয় ভরে উঠুক সবার মন ও হৃদয় তিনি এই প্রত্যাশা করেন।
গতকাল ৮ মে সকালে চাঁদপুরে বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৮তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা, কুইজ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামানের সভাপ্রধানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মঈনুল হোসেন (উপ-সচিব), জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র নাছির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল ও চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন। আরো বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কানিজ ফাতেমা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জীবন কানাই চক্রবর্তী ও জেলা স্কাউট সম্পাদক অজয় ভৌমিক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় করেন কবি ও লেখক ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়–য়া।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পৌর মেয়র বলেন, বাংলা ভাষাকে পৃথিবীতে চিনিয়েছেন এবং জানান দিয়েছেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। আর বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ ঘটিয়েছেন আমাদের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে রবীন্দ্রনাথ একটা শেকড়। আজকে বিশ^কবি রবীন্দ্রনাথের জন্মজয়ন্তী উদ্যাপন বাঙালির জন্যে আনন্দের এবং উৎসবের দিন। রবীন্দ্রনাথ বাঙালির পরিচয় এবং সকল ক্ষেত্রে প্রেরণা। তাঁর মানবভাবনার মূলে ছিল অসাম্প্রদায়িক চেতনা।
আলোচনার পর আবৃত্তি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন চাঁদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ফয়সাল, তাহমিনা ও সোহরাব হোসেন। বিশ^কবির রচিত ‘দুই বিঘা জমি’ কবিতা আবৃত্তি করেন আবু বক্কর ছিদ্দিক। সবশেষে মৃণাল সরকারের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লক্ষ্মণ চন্দ্র সূত্রধর, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তপন সরকার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ বদিউজ্জামান কিরণসহ সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সরকারি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।