• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

এসএসসি ও দাখিলে চাঁদপুর জেলার ঈর্ষণীয় ফলাফল ॥ গড় পাসের হারে সারাদেশ ও কুমিল্লা বোর্ডকে এবারো ছাড়িয়েছে

জেলায় এবার শীর্ষে হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়

প্রকাশ:  ০৭ মে ২০১৯, ১৪:৫১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 চাঁদপুর জেলায় এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষার ফলাফলের সাফল্যের ধারাবাহিকতা অক্ষুণœ রয়েছে। ২০১৭ সাল পর্যন্ত পর পর কয়েক বছর এসএসসি এবং দাখিলে চাঁদপুর জেলার ফলাফলে যে বিপর্যয় দেখা দিয়েছিলো তা গতবছর অনেকটা কাটিয়ে ওঠে। এবার গত বছরের চেয়েও ভালো ফলাফল অর্জন করেছে চাঁদপুর জেলা। শুধু ভালো ফলাফলই নয়, বলতে গেলে ঈর্ষণীয় ফলাফলও বটে। এবার গড় পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তি উভয়ই বেড়েছে। কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড তো বটেই, সারাদেশের গড় পাসের হারের চেয়েও চাঁদপুর জেলার পাসের হার এবার অনেক বেশি। গতকাল প্রকাশিত ফলাফলের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে চাঁদপুর জেলার এমন অবস্থান নিশ্চিত হওয়া গেছে।
এদিকে এবার আল-আমিন একাডেমী ও মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়কে টপকে হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় জেলার শীর্ষে চলে এসেছে। এ স্কুল থেকে এবার ২৩৩ জন পরীক্ষা দিয়ে সকলেই কৃতকার্য হওয়ার পাশাপাশি জিপিএ-৫ পেয়েছে ১০৬ জন। যা গত বছরের চেয়ে বেশি। গত বছর এ স্কুল থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ৯৩ জন। অপরদিকে জেলা শহরের অপর দুটি খ্যাতিমান স্কুল মাতৃপীঠ ও আল-আমিন একাডেমী শতভাগ পাসের কৃতিত্ব দেখাতে পারেনি।
গতকাল ৬ মে সোমবার সারাদেশে একযোগে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়। এসএসসির ফলাফলে দেখা গেছে যে, চাঁদপুর জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৩০ হাজার ৯শ’ ৭৭ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ২৭ হাজার ৪শ’ ৬৭ জন। পাসের হার ৮৮.৬৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ২শ’ ৩৪ জন। গত বছর এ পাসের হার ছিলো ৮৫.৫০ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিলো ১ হাজার ২১ জন।
দাখিলে এবার মোট পরীক্ষার্থী ছিলো ৭ হাজার ৪শ’ ৪৭ জন। মোট পাস করেছে ৬ হাজার ২শ’ ২৯ জন। পাসের হার ৮৩.৬৪। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১২৫ জন।
প্রকাশিত ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে যে, এসএসসিতে এবার কুমিল্লা বোর্ডের পাসের হার ৮৭.১৬ এবং সারাদেশে গড় পাসের হার ৮২.২০। আর মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে দাখিলে এবার সারাদেশে গড় পাসের হার ৮৩.০৩।
২০১৭ সালে চাঁদপুর জেলায় এসএসসির ফলাফলে অনেকটা বিপর্যয় ঘটেছিলো। সে বছর সারা জেলায় গড় পাসের হার ছিলো মাত্র ৬৩.৭৫। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিলো মাত্র ৭শ’ ৩৬ জন। সে তুলনায় এবার পাসের হার এবং জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা অনেক বেড়েছে। সে বছর এ জেলায় দাখিলের ফলাফলও খুবই খারাপ ছিলো। দাখিলে মোট পাসের হার ছিলো ৭৯.৩৪। আর জিপিএ-৫ পেয়েছিলো মাত্র ৩৯ জন। দাখিলের ফলাফলও এবার অনেক ভালো হয়েছে।
এদিকে জেলার বিদ্যালয়ভিত্তিক এসএসসির ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে, জিপিএ-৫ প্রাপ্তির বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে আল-আমিন একাডেমী। এ প্রতিষ্ঠান থেকে এবার ৬০৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ৫৯২ জন। পাসের হার ৯৭.২১। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪০ জন। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ বিদ্যালয় থেকে ২৯৯ জন পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে ২৮১ জন। পাসের হার ৯৩.৯৭ ভাগ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৭ জন।