হানারচরে জাটকা জেলেদের চাল বিতরণে অনিয়ম ॥ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ


চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচরে জাটকা জেলেদের মাঝে চাল বিতরনে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ইউনিয়নে জেলেদেরকে ৪০ কেজি চাল দেওয়া নিয়ম থাকলেও ৩০ কেজি করে চাল দেওয়া বিরুদ্বে হানারচর ইউনিয়নের ১১ জন মেম্বার গতকাল শনিবার চাউল বিতরনের সময় তাদের রাখা হয়নি বলে তারা চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমার নিকট চেয়ারম্যান ছাত্তার রাড়ীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে তারা জানান।
চাঁদপুর নৌ-সীমানায় ইলিশের পোনা জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর চাঁদপুর ষাটনল থেকে নোয়াখালীর চর আলেকজান্ডার পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার এলাকায় সরকার অভয়াশ্রম ঘোষনা করেছে। ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত ৪ মাস জেলেদেরকে সরকার বিকল্প কর্মসংস্থান ও খাদ্য সহায়তা হিসেবে বিজিএফের ৪০ কেজি করে চাল বিতরণের কথা থাকলেও চাল কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে তৃতীয় পর্যায়ে ২হাজার ৩৮৭ জন জেলের মাঝে চাল ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করে।
এ সময় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দু ছাত্তার রাঢ়ী,ট্যাগ অফিসার সুধির চন্দ্র পর্বত,ইউপি সচিব আব্দুল কুদ্দুছ রোকন ছাড়া অন্য কোন ইউপি সদস্য না থাকায় নিজেদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্ধ সৃষ্টি হয়েছে।
ইউপি সদস্যদের না রেখে চেয়ারম্যান নিজেই চাল বিতরণ করে। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী ৪০ কেজি চাল দেওয়ার নিয়ম থাকলেও তিনি তা না দিলে ৩০থেকে ৩৫ কেজি চাল দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
১৩নং হানারচর ইউনিয়নের পুরুষ ও মহিলা ১২ জন মেম্বারের মধ্যে ১১ জন ইউপি সদস্য চাঁদপুর সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমার বরাবর চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিস ও মেম্বারদের সাথে আলাপ কালে তারা জানান।
হানারচর ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কালাম কালু জানান, জেলেদের জাটকার চাল বিতরনের সময় এই ইউনিয়নের কোন মেম্বার উপস্থিত ছিল না। মেম্বারদের অনুপস্থিতিতেই ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিব জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ করেছে।
হানারচর ইউনিয়নের অন্যান্য ইউপি সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, জাটকার চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম হচেছ,৪০ কেজি জায়গায় মাত্র ৩০ কেজি চাল দিয়েছে বাকি চাল বিক্রি করে ফেলছে। জাটকার চাল বিতরনে অনিয়ম হাওয়াায় ইউপি সদস্যরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। ইউপি চেয়ারম্যান তার মন মতো যা ইচ্ছা তাই করছেন। তার বিরুদ্ধে তদন্ত হলে জাটকার চাল চুরির ঘটনাটি প্রমানিত হবে বলে জানিয়েছেন ইউপি সদস্যরা।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান ছাত্তার ঢ়ারি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, চাল বিতরণের সময় সকল মেম্বাররা উপস্থিত ছিলেন। যে অভিযোগ করা হয়েছে তা’ সম্পূর্ণ মিথ্যা। চাল বিতরণের সময় কম-বেশী দেওয়া এ ধরনের ঘটনা সব ইউনিয়নেই হয়ে থাকে। এটা নতুন কিছু না।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, হানারচর ইউনিয়নের ১১ জন ইউপি সদস্য অভিযোগ করেছে, চাল বিতরণের অনিয়ম বলে, জানতে পেরেছি। বিষয়টি আমি সরোজমিনে ঐ ইউনিয়নে গিয়ে তদন্ত করে দেখে যথাযথভাবে ব্যবস্থাগ্রহণ করবো।