নূতন নিয়মে নামাজ পড়ানোর প্রতিবাদে ইমামের পলায়ন


চাঁদপুর শহরের পূর্ব নাজিরপাড়া এলাহী জামে মসজিদে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় মুসল্লিদের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এক পর্যায়ে মুসল্লিদের প্রতিরোধের মুখে ইমাম পলায়ন করেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এ ঘটনার রেশ না কাটায় আছরের নামাজ এ মসজিদে পুলিশ পাহারায় আদায় করেছেন মুসল্লিরা। মসজিদ এলাকায় এখনও থমথমে ভাব বিরাজ করছে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা নিয়ম বাদ দিয়ে আগন্তুক এক ইমাম নূতন নিয়মে নামাজ পড়ানোয় এ ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মুসলমানদের মধ্যে ফেতনা সৃষ্টিকারী আহলে হাদিসের অনুসারী মুজাফফর বিন মুহসিন নামে এক ব্যক্তি গতকাল এ মসজিদে জুমার নামাজ পড়ান। তিনি মসজিদের নিয়মিত ইমামকে বসিয়ে দিয়ে খুৎবার পূর্বে দীর্ঘ সময় ধরে বিতর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এদিকে মসজিদে আগ থেকেই অন্য এলাকার আহ্লে হাদীসের অনুসারী কিছু যুবক মসজিদে এনে রাখা হয়। নূতন এ ইমাম খুতবা আরবীর পরিবর্তে বাংলায়, কাবলাল জুমা চার রাকাতের পরিবর্তে দু’রাকাত এবং ছানি আজান ছাড়াই খুৎবা দেন। তখন মসজিদের নিয়মিত মুসল্লিরা এর প্রতিবাদ করলে ভাড়া করা যুবকদের সাথে মুসল্লিদের মারামারি লেগে যায়। এহেন অবস্থায় মুজাফফর বিন মুহসিন তাড়াহুড়ো করে নামাজ পড়ে মসজিদ মহল্লা ত্যাগ করেন। নামাজের পর তাকে না পেয়ে আহলে হাদিসের অনুসারীদের সাথে মুসল্লীদের বাগ্বিত-ার মধ্যে আবারো মারামারি বেঁধে যায়। পরে চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশ পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহলে হাদিসের অনুসারীদের আঘাতে স্থানীয় মুসল্লি হাজী সিরাজুল ইসলাম (৬০), শাহজাহান মাঝি (৪৮), কাওছার (৩০) ও স্বপন আহত হন।