• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

অসাধু জেলেদের হামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আহত ২

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশের ৬ রাউন্ড গুলি

প্রকাশ:  ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:২৬ | আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:৩৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জাটকা নিধন বিরোধী টাক্সফোর্সের উপর জেলেদের হামলায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহত হয়েছে।  ১৯ এপ্রিল শুক্রবার থেকে নদীতে অভিযান আরো জোরদার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হাইমচরের কাটাখালীতে অভিযানের সময় ক্ষুব্দ জেলেরা টাক্সফোর্সের উপর দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিয়ে হামলা চালালে ইটের আঘাতে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মিজানুর রহমান আহত হন। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নৌ-পুলিশ ও কোস্ট গার্ড  আত্মরক্ষায়  ৬ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং ১ রাউন্ড ব্ল্যাংকার ফায়ার করা হয়। পরে সেখান থেকে ১ মণ জাটকা, ১৭ জন জেলেকে আটক করা হয়। আটককৃতদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে উপস্থাপন করা হলে ১৩ জনকে এক বছরের করে কারাদন্ড এবং ৪ জন শিশু হওয়ায় তাদের পাঁচ হাজার করে টাকা জরিমানা করা হয়।
 জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আসাদুল বাকী জানান, হামলার ঘটনার পর মৎস্য বিভাগের সহায়তায় নদীতে অভিযান আরো জোরদার করা হয়েছে। নৌ-বাহিনী, নৌ-পুলিশ ও কোষ্টগার্ডের নেতৃত্বে ৩ টি এবং টাক্সফোর্স সম্মিলিত ভাবে আরো একটি অভিযান পরিচালনা করছে।
    এদিকে ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ উজ্জ্বল হোসাইনের নেতৃত্বে একটি দল সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ২৫ মণ জাটকা উদ্ধার করেছে। তিনি জানান জাটকাগুলো ড্রাম ও প্লাষ্টিকের কনটেইনার ভর্তি করে রাখা ছিল।
হামলায় আহত অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, যত বাধাই আসুক না কেন তারা ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জাটকা শিকার, বিক্রি ও বিপনন করতে দেবেন না। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী এখন পর্যন্ত নদীতে সাড়াশি অভিযান চালিয়ে ৩ লাখ ৮৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল আটক করা হয়েছে। তাছাড়া ৬৩ টি মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার নদীতে ডুবিয়ে দেয়া হয়েছে। অভিযানের সময় নদীর তীরে স্থাপিত অস্থায়ী ৫ টি মাছের আড়ত আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।আটককৃত জাল নদী পাড়ে এনে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।