মতলব উত্তরে ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে র্যালি ও সভা
জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে : ইউএনও শারমিন আক্তার


মতলব উত্তর উপজেলায় ভূমি সেবা সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে বুধবার র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। র্যালিটি উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়।
উপজেলা পরিষদ হলরুমে সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভাশিষ ঘোষের সভাপ্রধানে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার। বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ ফারুক আহমদ, ওসি (তদন্ত) মুরশেদ আলম ভূঁইয়া, সুজাতপুর নেছারিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ জালাল, মতলব উত্তর প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুব আলম লাভলু, সাংবাদিক গোলাম নবী খোকন, জাকির হোসেন বাদশা, শিক্ষক শ্যামল কুমার বাড়ৈই, উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তা শাহ জালাল প্রমুখ।
সভায় প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, কৃষি জমি সুরক্ষার জন্যে আইন আছে। কৃষি জমি পরিবর্তন করতে হলে অনুমোদন নিতে হবে। পুকুর কাটার অনুমতি পেলে মাটি কাটার শ্রমিকের মাধ্যমে পুকুর খনন করতে হবে। কোনো ড্রেজার দিয়ে পুকুর খনন করা যাবে না।
তিনি আরোও বলেন, জমি নিয়ে মানুষের মাঝে বিভিন্ন জটিলতা দেখা যায়। এ জটিলতা দূর করতে হলে জমি সংক্রান্ত আইন ও নিয়ম নীতি জানতে হবে। জমি সংক্রান্ত বিষয়ে সকলকে সচেতন হতে হবে।
শাহরাস্তি ভোলদিঘি কামিল মাদ্রাসা
শিক্ষিকাকে কটূক্তি করায় অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ
শাহরাস্তি ব্যুরো ॥ শাহরাস্তির ভোলদিঘি কামিল মাদ্রাসার নারী প্রভাষককে অশ্লীল কথা বলায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার সকালে পদার্থ বিজ্ঞানের প্রভাষক হাজেরা আক্তার শ্রেণীকক্ষে পাঠদান করছিলেন। পাঠদান শেষে শিক্ষক কমনরুমে আসলে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ মাওঃ দেলোয়ার হোসাইন তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করেন। মৌখিক শ্লীলতাহানির কারণে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তারা অধ্যক্ষ অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে অধ্যক্ষকে তার নিজ কক্ষে এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখে।
খবর পেয়ে শাহরাস্তি মডেল থানার এসআই নজরুল ইসলাম ও উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি উম্মে হাবীবা মীরা মাদ্রাসা পরিদর্শন করেন এবং ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ বিষয়ে প্রভাষক হাজেরা আক্তার বলেন, অতীতেও প্রিন্সিপাল এ ধরনের কাজ করেছেন। বহুবার তিনি ক্ষমা চেয়ে পার পেয়েছেন। অসামাজিক আচরণ ও অশ্লীল বক্তব্য ভবিষ্যতে না করার জন্য এবার আমি তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মাওঃ দেলোয়ার হোসাইন বলেন, আমি প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে শিক্ষকদের সাথে এমন আচরণ করি। আমার সাথে প্রভাষক হাজেরা আক্তারের সাথে ব্যক্তিগত কোনো বিরোধ নেই। এমন আচরণের জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
শিক্ষার্থীরা জানায়, মাওঃ দেলোয়ার হোসাইন প্রায় দিন ছাত্রীদের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালমন্দ করেন। শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে ক্লাসে প্রবেশ করে তাদেরকে বেদম প্রহার করেন। তাই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রিন্সিপালের অপসারণ দাবি করে।