• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

তরপুরচন্ডীতে তাজমহল মসজিদের আদলে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে প্রিন্স গ্রুপের দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ

প্রকাশ:  ০৯ এপ্রিল ২০১৯, ১৪:৩৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর সদরের তরপুরচ-ী বিটি রোডের পাশে গত ৫ এপ্রিল শুক্রবার ফজরের নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ঢাকাস্থ মিরপুরের প্রিন্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠিত মার্বেল পাথরে নির্মিত অত্যাধুনিক একটি দোতলা মসজিদ উদ্বোধন করা হয়। ঢাকাস্থ প্রিন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান চাঁদপুরের কৃতী সন্তান আলহাজ¦ কাজী রুহুল আমিন এর উদ্বোধন ঘোষণা করেন। মসজিদটি ঢাকাস্থ মিরপুরের প্রিন্স গ্রুপ স্বত্বাধিকারীগণের পিতার নামানুসারে এর নামকরণ করা হয়েছে ‘মরহুম কাজী আলী হোসেন জামে মসজিদ’।
উদ্বোধনের সময় কাজী আলহাজ¦ রুহুল আমিন, কাজী আলহাজ¦ হেলাল উদ্দিন, কাজী আলহাজ¦ বেলাল, কাজী আলহাজ¦ রতন ও কাজী তোফাজ্জল হোসেন প্রিন্স এবং প্রিন্স বাজার লিমিটেডের এরিয়া ম্যানেজার সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের আগ্রার স¤্রাট শাহজাহান কর্তৃক নির্মিত তাজমহলের পাশে অবস্থিত মসজিদটির ডিজাইনের আদলে তরপুরচ-ী বিটি রোডে এটি নির্মিত হয়েছে। দোতলা মসজিদটির পাশে রয়েছে একটি অত্যাধুনিক এতিমখানা। এতে ১শ’ শিক্ষার্থী পড়ার সকল প্রকার সুযোগ রয়েছে। খতিব হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে হাফেজ মাওঃ মুফতি আবদুল হাইকে। মসজিদটি আধুনিক কারুকার্য সম্বলিত দীর্ঘ সময় নিয়ে নির্মিত হয়েছে। চারপাশ আরসিসি পিলার দ্বারা ঘেরা। সার্বক্ষণিক বিদ্যুতের জন্যে রয়েছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন জেনারেটর।
প্রসঙ্গত, প্রিন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ কাজী রুহুল আমিনের সেবাধর্মী চিন্তায় চাঁদপুরের তরপুরচ-ীতে তাঁর গ্রামের বাড়িতে ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৪ টি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করা হয়।
এগুলো হলো : কাজী লজ্জাতুননেছা মেমোরিয়ার হাসপাতাল, আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতাল সংলগ্ন অত্যাধুনিক মসজিদ ও হাফেজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা এবং ৪০টি দোকান সম্বলিত একটি বাজার।
২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি কাজী লজ্জাতুননেছা মেমোরিয়াল হাসপাতালের উদ্বোধন করেন। কাজী বাজার ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকাস্থ প্রিন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন।
চাঁদপুর সদরের সাড়ে ৩ কিঃ মিঃ উত্তরে তরপুরচ-ী ইউনিয়নের কাজীপাড়ায় বিটি সড়কের পাশে গেলো বছরের ৭ সেপ্টেম্বর কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের যাত্রা শুরু হয়।
এছাড়া আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে ৫শ’ মুসল্লি একত্রে নামাজ আদায় করতে পারে এমন একটি মসজিদ নির্মাণের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। ৫টি গম্বুজ বিশিষ্ট এ মসজিদটিতে ১টি দরজা ও ২৪টি জানালা ও ৩০ আসন বিশিষ্ট টাইলস্ করা ওজুখানা ও ৬টি ওয়াসরুম রয়েছে।
মসজিদ সংলগ্ন হাফেজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ১শ’ জন শিক্ষার্থীর আবাসন সুবিধা সম্পন্ন সকল প্রকার ব্যবস্থাসহ কোরআন শিক্ষার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এ দ্বীনি শিক্ষার ভার লজ্জাতুননেছা ফাউন্ডেশন আজীবনই বহন করবে।
এতিমখানা ও মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের খতিব, মুয়াজ্জিন ও অন্যান্য কর্মচারীদের বেতন ভাতা বহনে কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ৪০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সম্বলিত একটি শপিং সেন্টার নির্মাণ করা হয়েছে। এর ব্যয় প্রায় ৪০ লাখ টাকা। যা ন্যূনতম মূল্যে ভাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কাজী লজ্জাতুন্নেসা মেমোরিয়াল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি ৯৯শতাংশ ভূমির ওপর তিনতলা ভবনে দু’কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে। গেলো বছরের ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ শয্যা বিশিষ্ট এ হাসপাতালটি লজ্জাতুন্নেসা ফাউন্ডেশন নামক একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। কল্যাণপুর, তরপুরচ-ী ও বিষ্ণুপুর ইউনিয়নসহ প্রায় দু’লাখ পল্লী জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে প্রতিষ্ঠানটি।

 

 

সর্বাধিক পঠিত