বাবুরহাট শারমিন ফিলিং স্টেশনে এলপিজি গ্যাস বিপণন কার্যক্রম শুরু


চাঁদপুর শহরের বাবুরহাট এলাকায় নবনির্মিত মেসার্স শারমিন ফিলিং স্টেশনে গত ২৬ মার্চ থেকে এলপিজি বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিষ্ঠানের মালিক মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ দোয়া অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে এর বিক্রি কার্যক্রম শুরু করেন। প্রথম দিনেই বেশ কিছু সিএনজি অটোরিক্সা সিএনজির পরিবর্তে এলপিজি ক্রয় করেছে। বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, বিভিন্ন ধরনের যানবাহনের পাশাপাশি বাসা-বাড়িতে রান্না এবং ক্ষুদ্র কারখানা ও শিল্প প্রতিষ্ঠানেও এলপিজি ব্যবহার করা যাবে। এটি ব্যবহারে খরচ কম হবে এবং দুর্ঘটনার ঝুঁকিও কমবে। পাশাপাশি দীর্ঘ সময় লাইন ধরে চালককে গাড়ির জন্যে গ্যাস সংগ্রহ করতে হবে না।
এলপিজি বিশেষজ্ঞদের মতে, সিএনজির চেয়ে এলপিজি দামে সাশ্রয়ী। সিএনজির চেয়ে এলপিজির মূল্য প্রায় অর্ধেক কম। বর্তমানে যেসব থ্রি-হুইলার অটোরিক্সা সিএনজি ব্যবহার করছে তারা কোনো বাড়তি খরচ ও ঝামেলা ছাড়াই এলপিজি ব্যবহার করতে পারবে। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র সিলিল্ডার থেকে সিএনজি গ্যাস পুরোপুরি বের করে দিতে হবে। এরপর ওই সিলিন্ডারে এলপিজি ঢুকালেই হবে।
সূত্র আরো জানায়, সিএনজি গ্যাসে চাপ অত্যন্ত বেশি হওয়ায় তা খুব ঝুঁকিপূর্ণ। অত্যধিক চাপের কারণে পুরানো ও নি¤œমানের সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আশঙ্কাও থাকে প্রবল। অন্যদিকে এলপিজি গ্যাস তরল জাতীয় পদার্থ হওয়ায় এর চাপ অত্যন্ত কম। ফলে চাপজনিত দুর্ঘটনার কোনো ঝুঁকি নেই।
মেসার্স শারমিন ফিলিং স্টেশনের প্রোপ্রাইটর মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বলেন, সিএনজির মজুদ সীমাবদ্ধ হয়ে আসায় আগামীতে এলপিজির ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়বে। এ কারণেই আমি এলপিজি স্টেশন চালু করেছি। পরিবহন মালিক ও চালকরা এখন হাতের নাগালেই এলপিজি ব্যবহার করতে পারবেন। বর্তমানে দেশের অধিকাংশ জেলায় এলপিজি ব্যবহার শুরু হয়েছে। এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো ঘন ঘন সিলিন্ডার ভর্তি করতে হবে না।
তিনি আরো বলেন, সিএনজি অটোরিক্সায় এলপিজি ব্যবহারে কোনো বাড়তি খরচ নেই। সিএনজি বাদে অন্য গাড়িগুলো এলপিজির ব্যবহার উপযোগী করার খরচও তুলনামূলক কম। তাছাড়া আগামীতে যেসব গাড়ি বাজারে আসছে সেগুলো এলপিজি ব্যবহার উপযোগী থাকবে।