• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

‘শপথ চত্বর’কে যানজটমুক্ত রাখার উদ্যোগ

রেলওয়ের জায়গায় হবে অটোস্ট্যান্ড ও ফুলের বাগান

প্রকাশ:  ০৩ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র শপথ চত্বর এলাকাকে যানজটমুক্ত রাখতে জেলা প্রশাসন ও চাঁদপুর পৌরসভার যৌথ উদ্যোগে চাঁদপুর কোর্ট স্টেশন এলাকায় গড়ে ওঠা অবৈধ দোকানপাট গত সোমবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। কোর্ট স্টেশনে রেলওয়ের ঘুণ্টিঘর ও পুলিশ বক্সের পশ্চিমাংশে রেলওয়ের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের প্রায় ১৫টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। এ স্থানে বড়স্টেশন ও লঞ্চ টার্মিনাল ঘাটে যাওয়ার জন্যে সকল ব্যাটারিচালিত অটোবাইক পার্কিংয়ের নির্ধারিত স্থান করা হবে এবং সাথে ফুলের বাগান করা হবে। এ তথ্য জানিয়েছেন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী কর্তৃপক্ষ।
গত ১ এপ্রিল সোমবার দুপুর ১২টায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আব্দুলাহ আল মাহমুদ জামানের নেতৃত্বে এবং পৌরসভার সহযোগিতায় রেলওয়ে কোর্টস্টেশনের পশ্চিমাংশে অবৈধ দোকানপাট ও স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুন নাহার, মোঃ মাহবুবুর রহমান, চাঁদপুর পৌরসভার সচিব আবুল কালাম ভূঁইয়া, কাউন্সিলর বিল্লাল হোসেন মাঝি, মাইনুল ইসলাম, ফরিদা ইলিয়াছসহ পৌরসভার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানান, চাঁদপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র শপথ চত্বর এলাকায় শহরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ বক্স নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু অসাধু অটো চালকরা নির্ধারিত স্ট্যান্ড না পেয়ে এ পুলিশ বক্স ঘিরেই রাস্তার উপর যানজট সৃষ্টি করে তাদের পরিবহনগুলো রাখছে। এতে করে সাধারণ মানুষ রাস্তায় চলাচল করতে পারছে না। সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে জেলা প্রশাসন ও চাঁদপুর পৌরসভার সহযোগিতায় এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আমরা চাই শপথ চত্বর এলাকায় লঞ্চঘাট ও বড়স্টেশন অভিমুখী কোনো ব্যাটারিচালিত অটোবাইক যেনো রাস্তার উপর রেখে যানজট সৃষ্টি করতে না পারে। সকল অটোবাইক যেনো এ স্থানে অর্থাৎ পুলিশ বক্সের পেছনে উচ্ছেদকৃত খালি জায়গায় পার্কিং করা হয়। এদিকে পৌরসভার এক কর্মকর্তা জানান, এখানে অটোস্ট্যান্ড করার পাশাপাশি ফুলের বাগানও করা হবে।
পুলিশ বক্সের পেছনের অংশ থেকে যেসব দোকানীদের উচ্ছেদ করা হয়েছে তারা হলেনÑমুনাফ মিজির ফলের দোকান, মঞ্জুর ফলের দোকান, লতিফ মাতাব্বরের ফলের দোকান, নূরে আলমের ফলের দোকান, জয়দেবের চায়ের দোকান, শংকরের চায়ের দোকান, বাচ্চুর চায়ের দোকান, সুজনের চায়ের দোকান, মনিরের পিঠার দোকান, আবু তাহেরের ভাজাপুরির দোকান, পূর্বাংশে আব্দুর রশিদের ফলের দোকান, আল-আমিনের ফলের দোকান, মুরাদ হোসেন ও শাহাবুদ্দিনের ফলের দোকান। একই সাথে রাস্তার উপর বসে যেসব লোক জুতা সেলাইয়ের কাজ করত তাদেরকেও উচ্ছেদ করা হয়েছে।


 

 

সর্বাধিক পঠিত