• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • রোববার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

কচুয়ায় সেকান্দর আলীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে ব্রীজ নির্মাণ কাজ ৮ বছরেও শেষ হয়নি

প্রকাশ:  ৩১ মার্চ ২০১৯, ১৩:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 কচুয়ায় সেকান্দর আলীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে শুরু করা ব্রীজের নির্মাণ কাজ ৮ বছরেও শেষ হয়নি। ব্রীজটি নির্মাণ করা হচ্ছিল উপজেলার সাদিপুর-চাঁদপুর উত্তর পাড়ার হাজী বাড়ী সংলগ্ন ডাকাতিয়া নদীর সাথে সংযুক্ত কচুয়া-হাজীগঞ্জ খালের উপর। ব্রীজটি সঠিকভাবে নির্মাণ না হওয়ায় সাদিপুর-চাঁদপুর, বাসাবাড়িয়া ও হায়াতপুর অধিবাসীরা চলাচলে দুর্ভোগ পোহায়ে আসছে। বিশেষ করে মাঠের ফসল বাড়িতে নিয়ে আসতে ও কৃষিপণ্য  হাট-বাজারে নিয়ে বিক্রি করতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। সর্বোপরি ব্রীজটি নির্মাণ শেষ না হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে নৌকা কিংবা ভেলা ব্যতীত লোকজন খাল পারাপার হতে পারছে না।
    সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, সাদিপুর-চাঁদপুর গ্রামের মানব হিতৈষী সেকান্দর আলী আজ থেকে ৮ বছর পূর্বে এলাকার লোকজনের সীমাহীন দুর্ভোগ প্রত্যক্ষ করে হাজী বাড়ি সংলগ্ন স্থানে ব্রীজ নির্মাণে এগিয়ে আসার জন্যে স্থানীয়  জনপ্রতিনিধি (চেয়ারম্যান-মেম্বার) সহ বিত্তবান ব্যক্তিদেরকে আহ্বান জানান। কিন্তু বারবার আহ্বান জানানো  সত্ত্বেও কেউ তাঁর আহ্বানে সাড়া না দেয়ায় তিনি তাঁর নিজ অর্থায়নে এ ব্রীজটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। কাজ শুরু করার পর জনদুর্ভোগ দূরীকরণে দ্রুত ব্রীজটি নির্মাণে কচুয়া আসনের জাতীয় সংসদ সদস্যের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও তিনি ব্যর্থ হন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েও সেকান্দর আলী দমে যাননি। ধাপে ধাপে ব্রীজের নির্মাণ কাজ চালিয়ে যান। ব্রীজটির সিংহভাগ কাজ সম্পন্ন হওয়ার আগ মুহূর্তে বিধির বিধানে সেকান্দর আলী গত বছর (২০১৮ সালে) পরপারে পাড়ি জমান।
    সাদিপুর-চাঁদপুর গ্রামের অধিবাসী গোলাম মোস্তফা, হারুন, ওলি উল্যাহ ও শেখ ফরিদ জানান, মানব দরদী সেকান্দর আলী নিজস্ব অর্থায়নে ধাপে ধাপে উক্ত ব্রীজটি নির্মাণ করে জনগণের অপরিসীম দুঃখ-দুর্দশা লাঘব করবেন এটিই ছিল তাঁর লালিত স্বপ্ন। কিন্তু তাঁর স্বপ্ন বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে এসে তিনি মারা যান। তাঁর স্বপ্নের ব্রীজের অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করতে এখন এলাকাবাসী সদাশয় সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সু-দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

 

সর্বাধিক পঠিত