• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
  • ||
  • আর্কাইভ

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার প্রত্যয়ে চাঁদপুরে মহান স্বাধীনতা দিবস পালন

প্রকাশ:  ২৮ মার্চ ২০১৯, ০৯:৪৫
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের মর্যাদা সুরক্ষা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার দৃঢ় প্রত্যয়ে চাঁদপুর জেলার সর্বত্র ৪৯তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদ্যাপিত হয়েছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দিবসটি নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করেছে। তবে মূল আয়োজন ছিলো জেলা প্রশাসনের কর্মসূচিকে ঘিরে।
২০১৮ সালে বঙ্গবন্ধুর শুভ জন্মদিনের আগের দিন ১৬ মার্চ জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ ঘটিয়ে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি পেয়েছে। মহান স্বাধীনতার মাসে এমন স্বীকৃতি বাঙালি জাতির জন্যে মহাআনন্দের, মহাউৎসবের। তার উপর এবার টানা তৃতীয় মেয়াদে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করছে। তাই গত বছরের চেয়ে এবারের স্বাধীনতা দিবসের সার্বিক অনুষ্ঠানমালায় ভিন্নমাত্রার আমেজ, উৎসাহ ও আনন্দ ছিলো। সর্বস্তরের মানুষের আবেগ-উচ্ছ্বাসে তেমনটাই লক্ষ্য করা গেছে। শহর-গ্রাম সর্বত্র ছিলো উৎসবের আমেজ। সকলের চোখে-মুখের ভাষা যেনো ছিলো-আমরা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আরো এগিয়ে যাবো। বীর বাঙালিকে রুখবার শক্তি কারো নেই। আর সকলের মাঝে দৃঢ় প্রত্যয় ছিলো প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ যে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে, সে মর্যাদা সুরক্ষার এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমুন্নত রাখার।
২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে অঙ্গীকারের পাশে রেললাইনের উপর ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভসূচনা করা হয়। এরপর অঙ্গীকার বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ প্রশাসন এবং পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন অন্যান্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে অঙ্গীকারের পাশে তোপধ্বনি এবং মহান বীর শহীদদের স্মরণে অঙ্গীকার বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এরপর আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অঙ্গীকার বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
সকাল ৮টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠান শুরু হয় পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্য দিয়ে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক মঈনুল হাসান। পাশে ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ জিহাদুল কবির বিপিএম, পিপিএম। এ সময় সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর শান্তির পায়রা উড়ানো হয়।
জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও পায়রা উড়নোর পর পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, কারারক্ষী, রোভার স্কাউটস্, গার্লস্ গাইড ও কমিউনিটি পুলিশসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং শিশু-কিশোর সংগঠন সালাম প্রদর্শন, কুচকাওয়াজ, মার্চপাস্ট, শারীরিক কসরতসহ নানা ক্রীড়া প্রদর্শন করে। স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠান শেষে সার্কিট হাউজে চাঁদপুর সদরের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়। এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সফলতা অর্জিত হয়েছে তা ধরে রেখে সামনে আরো দৃঢ় প্রত্যয়ে এগিয়ে যাওয়ার শপথসহ দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শিল্পকলা একাডেমীতে আলোচনা সভা এবং শিল্পকলা একাডেমীর ব্যবস্থাপনায় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জেলা শহর ছাড়াও প্রত্যেক উপজেলায় স্থানী প্রশাসন, আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ-সংগঠনের উদ্যোগে এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়।
 

সর্বাধিক পঠিত