• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

চাঁদপুরের উল্লেখযোগ্য কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানের অনুভূতি ও প্রতিক্রিয়া

চাঁদপুরসহ সারাদেশে শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নে পাহাড়সম প্রত্যাশা শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির কাছে

প্রকাশ:  ০৯ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:৩৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

চাঁদপুর জেলাবাসী বলতে গেলে অহঙ্কার বা গর্বের সর্বোচ্চ শিখরে আছে। বিশেষ করে শিক্ষক সমাজের তো অহঙ্কারের সীমা নেই। ‘রতœগর্ভা মা রহিমা ওয়াদুদ, যিনি নিজেও একজন শিক্ষক ছিলেন, সে শিক্ষিকার মেয়ে এবং একজন ভাষাবীরের কন্যা এখন শিক্ষামন্ত্রী, এর চেয়ে আমাদের গর্বের আর কী আছে? আমাদের দৃঢ় বিশ^াস এবং আমরা শতভাগ আশাবাদী যে, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির হাত দিয়ে হয়েছে, দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় ইতিহাস হয়ে থাকার মতো আমূল পরিবর্তন এবং গুণগত মানোন্নয়ন হবে। তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো এতো উঁচু স্তরের জায়গায় গিয়ে শতভাগ সাফল্যই শুধু নয়, ঈর্ষণীয় সাফল্য অর্জন করেছেন, সমুদ্রসীমা জয়সহ অনেক বড় বড় অর্জন তাঁর হাত দিয়ে হয়েছে, এবারো শিক্ষাখাতে তাঁর দ্বারা একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সে বিশ^াস এবং আস্থা রেখেই আমাদের গর্বের ধন, আমাদের এমপি মহোদয় ডাঃ দীপু মনির ওপর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন।’
    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একাদশ মন্ত্রিসভার পথচলা গত ৭ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। এ মন্ত্রিসভার শিক্ষামন্ত্রী চাঁদপুর-৩ (সদর-হাইমচর) আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনিকে নিয়ে এভাবেই প্রত্যাশা এবং অনুভূতির কথা জানালেন চাঁদপুরের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার প্রধানগণ। এই প্রধানদের একজন চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজের নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর কায়সার আহমেদের ডাঃ দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে মন্তব্যটি ছিলো এ রকম “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সে এগিয়ে যাওয়ার অংশ হিসেবেই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব ডাঃ দীপু মনির মতো একজন সজ্জন এবং সফল ব্যক্তিত্বকে দেয়া।” ‘দীপু মনি পারবেন। যদিও আমরা এ দায়িত্বটাকে অনেক বড় চ্যালেঞ্জিং হিসেবে দেখছি, তবে এটা তাঁর জন্যে তেমন কঠিন কিছু নয়’ এমন আশাব্যঞ্জক মন্তব্যও করলেন কয়েকজন।
    বাংলাদেশে প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি। এবার আবার প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রীও তিনি। তিনি চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য। তাই চাঁদপুর শহরসহ কয়েকটি উপজেলার প্রধান ক’টি বিদ্যাপীঠ তথা চাঁদপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর সরকরি মহিলা কলেজ, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসা, চাঁদপুর পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজ, বাবুরহাট হাইস্কুল এন্ড কলেজ, চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, চাঁদপুর গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় এবং হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানগণের সাথে ডাঃ দীপু মনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় তাঁদের অনুভূতি, প্রতিক্রিয়া এবং প্রত্যাশার বিষয়ে কথা হয়। প্রথমে তাঁদের প্রত্যেকেরই এক ও অভিন্ন মন্তব্য হচ্ছে ‘আমরা শিক্ষক সমাজ গর্বিত। ডাঃ দীপু মনি মহোদয়ের মতো একজন সৎ, সজ্জন ও কর্তব্যপরায়ণ ব্যক্তিত্ব আমাদের মন্ত্রী হয়েছেন। এতে আমরা নিজেদের অনেক বেশি সম্মানিতবোধ করছি।’
    চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. এএসএম দেলওয়ার হোসেন বলেন, শিক্ষা ক্ষেত্রে গুণগত পরিবর্তন বর্তমান সময়ের জন্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০-এর বাস্তবায়নে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন বলে দৃঢ় আশাবাদী। বিগত একদশকে ডাঃ দীপু মনি চাঁদপুর সরকারি কলেজের অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সার্বিক বিষয়ে যে ভূমিকা রেখেছেন, তা কৃতজ্ঞার সঙ্গে স্মরণযোগ্য। তাঁর কর্মপরিধি এখন আরো বিস্তৃত। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন দর্শনে শিক্ষার প্রতি সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে ডাঃ দীপু মনি এমপি মহোদয়ের সামনে অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও আশাকরি তিনি তাঁর দূরদর্শী রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, পরিকল্পনা ও সুুচিন্তিত পদক্ষেপের মাধ্যমে সকল প্রতিকূলতা উত্তরণে সক্ষম হবেন। তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যেমনি প্রথম নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তেমনি আবার প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে অভিষিক্ত হয়েছেন। এই বিরল অর্জনে দেশবাসী সকলেই আনন্দিত ও অভিভূত। পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকাকালীন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে তিনি যেমন সফল ভূমিকা রেখেছেন, তেমনি শিক্ষামন্ত্রী হিসেবেও তিনি একইরূপ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একজন যোগ্য ব্যক্তির হাতেই শিক্ষার দীপশিখা তুলে দিয়েছেন।
    কথা হয় চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজে সদ্য যোগদান করা অধ্যক্ষ প্রফেসর কায়সার আহমেদের সাথে। তিনি প্রথমে বললেন ডাঃ দীপু মনির ব্যক্তিগত আচার-আচরণ বিষয়ে। এ বিষয়ে তাঁর মূল্যায়ন হচ্ছে-‘আমি কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডে কর্মরত থাকা অবস্থায় ডাঃ দীপু মনি মহোদয়ের সাথে একাধিকবার টেলিফোনে আমার কথা হয়েছে। তাতে আমরা কাছে মনে হয়েছে তিনি অনেক বড় মনের একজন মানুষ। এককথায় আমি অভিভূত। তাঁর মতো একজন গুণী মানুষ শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন তাতে সারাদেশের শিক্ষক সমাজের সাথে আমি নিজেও গর্বিত।’ প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বললেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দশ বছর শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। সদ্য বিদায়ী শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ স্যার শিক্ষার উন্নয়নে নিরলস পরিশ্রম করেছেন এবং অনেক ক্ষেত্রে সফলও হয়েছেন। তাই আমি বলবো, নাহিদ স্যার সফল শিক্ষামন্ত্রী হিসেবেই বিদায় নিয়েছেন। এখন বর্তমানে যিনি আমাদের শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন তাঁর হাত দিয়ে শিক্ষাখাতের গুণগত মনোন্নয়ন এবং বিরাজমান যে সব সমস্যা রয়েছে সেগুলো দূর হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ^াস। তিনি আরো বলেন, শিক্ষার বিস্তৃতি ব্যাপক হয়েছে, এখন প্রয়োজন গুণগত মান। আর এটি তাঁর দ্বারা সম্ভব। আমি প্রত্যাশা করবো, শিক্ষা ব্যবস্থায় যে সব সমস্যা রয়েছে, সেগুলো তিনি নিজে অনুধাবন এবং চিহ্নিত করে দূর করবেন। প্রফেসর কায়সার আহমেদ খুব বেশি আশাবাদী হয়ে বললেন, দীপু মনির কাছে আসলে প্রত্যাশা করতে হয় না। আমরা শুধু তাঁর কর্মযজ্ঞের ফলাফল তুলে ধরবো। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাঁর সফলতা আমরা দেখেছি। একইভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়েও দেখবো।
    কথা হয় বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালি জেলার মধ্যে চারটি বিভাগে কামিল এবং অনার্স-মাস্টার্স ও ভোকেশনাল শাখাসহ একমাত্র আলিয়া মাদ্রাসা ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. একেএম মাহবুবুর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। সেখানে উচ্চ শিক্ষিত এবং অভিজ্ঞ হিসেবে ডাঃ দীপু মনিকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে এ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করেছেন সেজন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা। দীপু মনি এর চেয়েও আরও গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরও মন্ত্রী ছিলেন এবং এ মন্ত্রণালয়ে তাঁর সফলতা আকাশচুম্বী। ড. মাহবুব বলেন, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমরা দেখেছি, তিনি আলেম-ওলামা ও পীর মাশায়েখদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরা আশা করছি, জমিয়াতুল মোদার্রেছীনের যে নেটওয়ার্ক সারাদেশে রয়েছে, তাকে তিনি কাজে লাগিয়ে শিক্ষাক্ষেত্রে অনেক অগ্রগতি করতে পারবেন। আমি জমিয়তের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হিসেবে বলতে চাই, সারাদেশের সকল মাদ্রাসার শিক্ষক-কর্মচারী তাঁকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কওমী মাদ্রাসার সনদকে যে স্বীকৃতি দিয়েছেন, তা বাস্তবে রূপ দিতে সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আমাদের শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি উদ্যোগ নেবেন বলে আশা করছি। দ্বীনি শিক্ষার অঙ্গন তথা মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, আরবি বিশ^বিদ্যালয়সহ অন্য সকল প্রতিষ্ঠানে যোগ্য আলেমদের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত করবেন বলে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রত্যাশা।
    চাঁদপুর পুরাণবাজার ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে ডাঃ দীপু মনির অভিষিক্ত হওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এ প্রাপ্তিতে শিক্ষক হিসেবে আমরা গর্বিত। এমন একজন ব্যক্তিত্বকে আমরা শিক্ষক সমাজের অভিভাবক হিসেবে পেয়েছি, যিনি একাধারে রাজনীতিবিদ, চিকিৎসক, আইনজীবী এবং একজন শিক্ষকও। রাজনীতির পাশাপাশি তিনি শিক্ষকতাও করেন। সবচেয়ে বড় কথা হলো, আমরা একজন শিক্ষকবান্ধব ও শিক্ষাবান্ধব শিক্ষামন্ত্রী পেয়েছি। এমন উচ্চশিক্ষিত ও মার্জিত রুচির শিক্ষামন্ত্রী পেয়ে আমরা গর্বিত। তাঁর সততা, বিনয়ী আচরণ ও ঔদার্যতা সর্বমহলে বিদিত। কঠিন সময়েও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে তিনি কুণ্ঠাবোধ করেন না। আমরা শিক্ষকসমাজ এমন একজন অভিভাবক পেয়ে আনন্দিত। তাঁর আলোয় পুরো শিক্ষকসমাজ আলোকিত হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে যে অচলায়তনগুলো আছে, আমার দৃঢ় বিশ্বাস তিনি সেগুলো অতিক্রম করতে সক্ষম হবেন। তাঁর কাছে আমাদের একটাই প্রত্যাশা-তিনি মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করবেন, অনিয়মগুলো দূর করবেন।
    চাঁদপুর বাবুরহাট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোশারেফ হোসেন বলেন, আমি এ জন্যে খুব বেশি আনন্দিত যে, ওনার (দীপু মনি) হাত ধরেই আমি এ প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছি। পাঁচ বছর ওনার সাথে কাজ করেছি। তাই আমি বলবো, ডাঃ দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়া আমার চেয়ে সৌভাগ্যবান আর কেউ হতে পারে না। প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ^াস শিক্ষাখাতে যে উন্নয়ন চলছে, এর ধারাবাহিকতা তিনি অব্যাহত রাখবেন। বিরাজমান সমস্যাগুলো তিনি অবশ্যই বুঝে নেবেন এবং সেসবের উত্তরণ ঘটাবেন। অধ্যক্ষ মোশারেফ বলেন, একই ব্যক্তি দীর্ঘদিন এক প্রতিষ্ঠানে একই পদে থাকলে দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হয়। তাই আমি বলবো, শিক্ষাখাতে সুশাসন নিশ্চিতকরণে তিন বছরের অধিক যেনো কেউ একই প্রতিষ্ঠানে একই পদে না থাকেন।
    চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হয়েছেন এতে আমি অত্যন্ত খুশি এবং আনন্দিত। প্রত্যাশার বিষয়ে তিনি বলেন, আশা করছি তাঁর দ্বারা সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে। যেমন শ্রেণী পাঠদান, পরীক্ষা পদ্ধতি, মাল্টিমিডিয়া শ্রেণীকক্ষ ও বিষয়ভিত্তিক পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের ব্যবস্থা করা। যাতে করে প্রকৃত শিক্ষা এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে আধুনিক এবং যুগোপযোগী শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে শিক্ষার্থীরা। তিনি উল্লেখযোগ্য একটি দাবি জানিয়ে বলেন, চাঁদপুর শহরে আধুনিক ও মানসম্মত আরো দুটি (ছেলে ও মেয়েদের পৃথক) স্কুল খুবই প্রয়োজন। কারণ, দেখা গেছে যে, বছরের শেষদিকে ভর্তির জন্যে হাসান আলী ও মাতৃপীঠে স্থান সঙ্কুলান হচ্ছে না। যার কারণে অনেক কোমলমতি শিক্ষার্থী ভালো স্কুলে ভর্তি হওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এর দ্বারা সন্তানদের কাক্সিক্ষত শিক্ষাদান থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে চাঁদপুরের জনগণ।
    চাঁদপুর মাতৃপীঠ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার সাহা ডাঃ দীপু মনিকে শিক্ষামন্ত্রী করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, উনি যতবারই সরকার গঠন করেছেন, ততবারই চাঁদপুর থেকে মন্ত্রী করেছেন। তিনি সবসময়ই চাঁদপুরের এমপিদের চাঁদমুখ বলে সম্বোধন করেন। সে আলোকে চাঁদপুরের সত্যিকারের চাঁদমুখ ডাঃ দীপু মনি এর পূর্বেও একজন সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিশ^ দরবারে উজ্জ্বল এবং মর্যাদার আসনে নিয়ে গেছেন। বিশেষ করে বিগত ৪০ বছরের সমস্যা ভারত ও মিয়ানমারের সাথে সমুদ্রসীমা সমস্যার সমাধান তাঁর নেতৃত্বে হয়েছে। তাই আমি বলবো, তাঁর ধারাবাহিক যোগ্যতার ভিত্তিতেই তাঁকে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে। সেজন্যে আমি সকল শিক্ষকের পক্ষ থেকে তাঁকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। আমার আশা এবং বিশ^াস, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির নেতৃত্বে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা আরো উন্নত, সমৃদ্ধ, আধুনিক ও যুগোপযোগী হবে এবং আমাদের দেশের নাগরিকরা বিশ^ নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে। তাঁর কাছে আমার দৃঢ়ভাবে প্রত্যাশা হচ্ছে-সকল পাবলিক পরীক্ষা এবং নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস পুরোপুরি বন্ধ হবে।
    চাঁদপুর গণি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্বাস উদ্দিন বলেছেন, ডাঃ দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ায় শিক্ষা পরিবারের মাঝে প্রত্যাশার ঢেউ জেগে উঠেছে। চাঁদপুরের চাঁদমুখ খ্যাত মেঘনাপাড়ের কন্যা ডাঃ দীপু মনি দেশের প্রথম নারী শিক্ষামন্ত্রী হয়ে যেমন রেকর্ড গড়েছেন, আমার বিশ্বাস তিনি তাঁর কর্মের মাধ্যমেও শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এনে শিক্ষাক্ষেত্রে অনন্য রেকর্ড গড়বেন।
    এ প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, চাঁদপুরের জননন্দিত নেত্রী ডাঃ দীপু মনি শিক্ষামন্ত্রী হওয়ায় শিক্ষক পরিবারের মাঝে একটি প্রত্যাশার ঢেউ জেগে উঠেছে এবং সকলে মনে করছেন এতোদিনে শিক্ষা পরিবারকে বুঝার ও জানার জন্যে এবং শিক্ষকদের বঞ্চনাগুলো অনুধাবন করার জন্যে একজন যোগ্যব্যক্তিকে তাদের মাঝে পেয়েছে। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মকর্তাদের সেবা করার নিমিত্তে একজন যোগ্য সেবক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে নিয়োজিত করার জন্যে আমরা শিক্ষা পরিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অকৃত্রিম কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাঁর ¯েœহধন্য ও আস্থাভাজন, প্রাজ্ঞ ও অভিজ্ঞ একজন শিক্ষামন্ত্রী দেশবাসীকে উপহার দিয়ে আমাদের চির কৃতার্থ করেছেন। আমরা বিশ্বাস করি, দেশব্যাপী শিক্ষক সঙ্কট নিরসনে এবং শিক্ষকদের কল্যাণ তহবিল ও অবসরভাতা গ্রহণে যতো প্রতিবন্ধকতা আছে তা বর্তমান শিক্ষামন্ত্রীর হাত ধরেই দূর হবে। সবশেষ চাঁদপুরবাসীর গর্বধন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
    চাঁদপুর হাসান আলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ইসমত আরা সাফি বন্যা বলেন, একজন শিক্ষক হিসেবে আমি গর্বিত। ডাঃ দীপু মনির মতো একজন সজ্জন ও দৃঢ় মানসিকতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্ব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ায় আমরা নিরাপত্তাবোধ করছি। সারাদেশে শিক্ষার উন্নয়নে যে বৈসাদৃশ্য এবং প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, সেগুলো অবশ্যই তাঁর নেতৃত্বে দূর হবে বলে আশা করছি। প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধ, শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য, পদমর্যাদার বৈষম্য এবং শিক্ষকদের নানা বঞ্চনা তিনি দূর করবেন। সর্বশেষ তাঁর কাছে প্রত্যাশা হচ্ছে-শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়ন করতে প্রাথমিক পর্যায় থেকেই যেনো আইসিটি শিক্ষা শুরু হয়।

সূত্র : চাঁদপুর কণ্ঠ

সর্বাধিক পঠিত