চাঁদপুরের পাঁচটি আসনে ৫৯ জনের মধ্যে ৮ জনের মনোনয়ন বাতিল
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুরের ৫টি আসনে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের মধ্যে ৮জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল ২ ডিসেম্বর বুধবার চাঁদপুরসহ সারাদেশে একযোগে মনোনয়নপত্র বাছাই পর্ব সম্পন্ন হয়। চাঁদপুর জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে গতকাল সকাল ১০টায় এ বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। জেলার পাঁচটি সংসদীয় আসনে দাখিলকৃত ৫৯ জনের মনোনয়ন বাছাই কার্যক্রম সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। বাছাইতে ৫১ জনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়। আর ৮জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়।
চাঁদপর-১ (কচুয়া) আসন দিয়ে এ বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়। ধারাবাহিকভাবে চাঁদপুর-৫ দিয়ে বাছাই পর্ব শেষ হয়। জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং অফিসার মোঃ মাজেদুর রহমান খান এ কার্যক্রমে মূল দায়িত্ব পালন করেন। তাঁকে সহায়তা করেন পুলিশ সুপার মোঃ জিহাদুল কবির পিপিএম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ মঈনুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ শওকত ওসমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) জাহেদ পারভেজ চৌধুরী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ হেলাল উদ্দিন খান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমাসহ আরো কয়েকজন সহকারী কমিশনার। মনোনয়নপত্র বাছাইকালে প্রায় সকল প্রার্থীই উপস্থিত ছিলেন। দু’একজন যারা উপস্থিত ছিলেন না তাদের প্রতিনিধি হিসেবে প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়নপত্র বাছাইকালে যে সব প্রার্থীর ব্যাপারে মনোনয়ন বাতিল হওয়ার মতো অভিযোগ ছিলো সে সব প্রার্থীর উপস্থিতিতেই অভিযোগের ব্যাপারে জবাব চাওয়া হয়। যারা বিধি সম্মতভাবে সন্তোষজনক জবাব দিতে পেরেছেন অথবা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পেরেছেন তাদের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার মোঃ মাজেদুর রহমান খান। আর যারা সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেন নি এবং অভিযোগ বাতিল করার স্বপক্ষে কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি, তাদের মনোনয়ন বাতিল বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। আর বাতিলকৃতদের মধ্যে যারা আপত্তি তুলেছেন তাদেরকে আপীল কর্তৃপক্ষের কাছে আপীল করার জন্যে রিটার্নিং অফিসার পরামর্শ দিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র বাতিল হওয়াদের মধ্যে আলোচিত হচ্ছেন চাঁদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি লায়ন হারুনুর রশিদ। তিনি ২০০৮ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক ও ফরিদগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি। এবার এ আসন থেকে বিএনপির তিনজনকে মনোনয়ন দেয়া হলেও এখানে ঠাঁই হয়নি লায়ন হারুনের। তারপরও তিনি বিএনপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। কিন্তু তিনি তাঁর মনোনয়নপত্রের সাথে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রাপ্তির চিঠি জমা দেননি এবং গতকাল বাছাইকালেও সে চিঠি দেখাতে পারেন নি। যদিও বাছাইকালে তিনি উপস্থিত ছিলেন না। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার জানতে চাইলে লায়ন হারুনের পক্ষে কেউ এর জবাবও দেয়নি। তাই রিটার্নিং অফিসার লায়ন হারুনুর রশিদের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন।