• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মিলনের জামিন নামঞ্জুর

প্রকাশ:  ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৫৫ | আপডেট : ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ১১:৫৭
নিজস্ব প্রতিবেদক
সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলন।
প্রিন্ট

সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আনম এহসানুল হক মিলনের জামিন নামঞ্জুর করে আদালত তাঁকে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। মিলনকে গতকাল সোমবার সকালে চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সরওয়ার আলমের আদালতে হাজির করে ১৪টি মামলায় জামিনের আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। আদালত মিলন ও সরকার পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে তিনটি মামলায় জামিনের আবেদন নাকচ করে দিয়ে বাকিগুলোর বিষয়ে পরে সিদ্ধান্ত জানাবেন জানিয়ে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

এরপর মিলনকে নেয়া হয় অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মোঃ কায়সার মোশারফ ইউসুফের আদালতে। সেখানে দুটি মামলায় জামিনের আবেদন করা হলে আদালত সেসব মামলায়ও মিলনের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। এর আগে মিলন উল্লেখিত মামলাগুলোর মধ্যে ৭টিতে উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করেছিলেন।

কিন্তু ২০১৫ সালের ২ এপ্রিল থেকে তিনি মামলাগুলোতে হাজির না হওয়ায় তাঁকে নতুন করে ওইসব মামলায়ও জামিন চাইতে হচ্ছে। প্রায় তিন বছর আদালতে অনুপস্থিত থাকায় এবং অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে যথোপযুক্ত কারণ উপস্থাপন করতে না পারায় আদালত এসব মামলায়ও তাঁর জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।

অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ সরওয়ার আলমের আদালতে মামলাগুলো হলো : এস.সি ৯৯/১৫, এস.সি ৯২/১৫, এস.সি ২১২/১৫, এস.সি ২৭০/১৫, এস.সি ১০৮/১২, এস.সি ২৪৬/১৭, এস.টি.সি ৩৫/১৪, এস.সি ১৬/১৪, এস.সি ১৪২/১৭, এস.সি ৯৩/১৪, এস.সি ৯৩/১৫, এস.টি.সি ১০/১৪, এস.সি ৩০১/১৪, এস.সি ৯১/১৪। এছাড়াও এহসানুল হক মিলনের আইনজীবীরা অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ কায়সার মোশারফ ইউসুফের আদালতে জি.আর. ৫৫/০৯ ও জি.আর. ১৪/১০ মামলার জামিন চাইলে এ দুটিতে জামিন নামঞ্জুর করেন আদালত।

মিলনের আইনজীবী অ্যাডঃ কামরুল ইসলাম জানান, সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলনের ১৬টি মামলার জামিন চাওয়া হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন। এহসানুল হক মিলন সবগুলো মামলায় জামিনে ছিলেন। চিকিৎসার জন্যে বিদেশে গিয়েছিলেন তিনি। আমরা এহসানুল হক মিলনের জামিন দরখাস্তের সাথে সকল কাগজপত্র ও ডকুমেন্টারী জমা দিয়েছি। আশা করি বিজ্ঞ আদালত এহসানুল হক মিলনের জামিন সহসাই দেবেন।

আদালতে আনম এহসানুল হক মিলনের পক্ষে আইনজীবীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডঃ সেলিম আকবর, অ্যাডঃ কাজী মোজাম্মেল, অ্যাডঃ ফজলুল হক সরকার, অ্যাডঃ কামাল উদ্দিন আহম্মেদ, অ্যাডঃ জাকির হোসেন ফয়সাল, অ্যাডঃ মিজান, অ্যাডঃ বাবর বেপারী, অ্যাডঃ মাইনুল ইসলাম, অ্যাডঃ মাসুদ প্রধান, অ্যাডঃ মোহাম্মদ ইয়াসিন আরাফাত ইকরামসহ অন্য আইনজীবীগণ।

রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাডঃ আবদুল লতিফ শেখ, অ্যাডঃ সাইয়েদুল ইসলাম বাবু, অ্যাডঃ দেবাশীষ কর মধু, অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভঁূইয়া, অ্যাডঃ হেলালসহ অন্য আইনজীবীগণ।

উল্লেখ্য, গত ১২ নভেম্বর সোমবার সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনম এহসানুল হক মিলন লন্ডন হতে দেশে আসেন। তারপরে তিনি চাঁদপুরের আদালতে বিচারাধীন ২৬টি মামলার হাজিরা ও জামিনের প্রস্তুতি নেন। গত ২৩ নভেম্বর শুক্রবার ভোর ৪টায় মিলনকে চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার থানার ৪৫২ চট্টেশ্বরী রোডে অবস্থিত তাঁর বন্ধুর 'মমতাজ ছায়ানীড়' নামে একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়। মিলন এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসন থেকে নির্বাচন করার জোর প্রস্তুতি গ্রহণ করতেই মূলত দেশে ফিরছিলেন। তবে তাঁর এই আটক নির্বাচনী প্রস্তুতি কিংবা জয়-পরাজয়ে কী ভূমিকা রাখে তা নিশ্চিত হতে আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে তাঁর সমর্থক ও কর্মীদের।

সর্বাধিক পঠিত