• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

শীতের আগমনে ব্যস্ততা বেড়েছে মতলবের লেপ-তোশক ব্যবসায়ীদের

প্রকাশ:  ১৫ নভেম্বর ২০১৮, ১০:৩১
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

 কনকনে শীতে ছেলে-বুড়ো সবাই একটু উষ্ণতা পেতে চায়। শীতলতা থেকে শরীরকে গরম রাখতে কম্বল, কাঁথার পাশাপাশি লেপ বাঙালির অন্যতম অনুষঙ্গ। তাই শীতের আগমনকে কেন্দ্র করে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে মতলব উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের লেপ-তোশক তৈরি করার কারিগর ও ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন হাট-বাজারে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মানুষ বিভিন্ন দোকানে লেপ-তোশকের অর্ডার দিচ্ছেন। পছন্দমতো কাপড়, তুলা দিয়ে দোকানদরাগণ নিপুণ হাতে তৈরি করে সরবরাহ করছেন ক্রেতাদের কাছে।
একসময় গ্রামের সাধারণ মানুষ শীতের সময় মোটা কাঁথা ব্যবহার করতেন। সময়ের পরিবর্তনে এখন গ্রাম থেকে শহর সবাই লেপ এবং কম্বল ব্যবহার করেন। পাতলা কাঁথা ব্যবহার করেন শুধুমাত্র হালকা শীতে অথবা ঘন বর্ষায় ঠা-া আবহাওয়ার সময়। মানুষের চাহিদার পরিবর্তনে লেপ-তোশকের দোকানের পসরায়ও এসেছে নানাবিধ পরিবর্তন। একসময় শিমুল তুলা দিয়েই তৈরি হতো লেপ-তোশক। এখন গার্মেন্টসের ঝুট অথবা এক ধরনের ফোম আছে যা দিয়ে লেপ-তোশক, বালিশ, কোলবালিশ তৈরি করা হয়।
লেপ-তোশক তৈরি নিয়ে কথা হয় নারায়ণপুর বাজারের দুবাই বেডিংয়ের স্বত্বাধিকারী মোঃ সবুজের সাথে। তিনি বলেন, শীত বাড়ার সাথে সাথে কাজের চাপ বাড়ে। এখন অগ্রহায়ণ মাস। গ্রামে অনেকটা শীতের আমেজ শুরু হয়েছে। তাই কাজের চাপ আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। তবে ক্রমশ মানুষ সচেতন হচ্ছে। এখন আর কেবল শীতের আগমনের জন্যে অনেকেই অপেক্ষা করেন না। সারাবছরই কম-বেশি কাজ থাকে। কথা হয় লেপ-তোশক তৈরির উপকরণ নিয়ে। লেপ-তোশক তৈরির প্রধান উপাদান শিমুল তুলা এখন আর আগের মতো পাওয়া যায় না। দাম বেশি হওয়ায় এখন ভিআইপিরা শিমুল তুলা বেশি ব্যবহার করেন বলে মোঃ সবুজ জানান। অপরদিকে ফাইবারের তুলা নরম হওয়ায় তা চলে বেশি। তিনি আরও জানান, শিমুল তুলার দাম ভালোটা ৬৫০ টাকা, মিডিয়ামটা ৫৫০ টাকা, ফাইবারের রেডিমেড লেপ মোটাটা ২ হাজার টাকা, বালিশ ৩৫০ টাকা ও কোলবালিশ ৪৮০। গার্মেন্টের উল তুলা কেজি ৫০ টাকা।
তুলা ও কাপড়ের দাম সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তুলার দাম গতবারের তুলনায় ঠিক থাকলেও লেপের কাপড়, লেপের কভার, তোশকের কাপড়, বিছানার চাদর ইত্যাদির দাম বেড়েছে। অপরদিকে কর্মচারীর মজুরিও বাড়ছে, দোকানের ভাড়া বাড়ছে। কিন্তু খুচরা পর্যায়ে এসব পণ্যের দাম আগের সমান থাকায় লাভ কম হয়।

সর্বাধিক পঠিত