• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

মানুষের বিচারহীনতা দূর করতে গ্রাম আদালত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ : উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার

প্রকাশ:  ১০ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৫৮
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

গ্রাম আদালতের বিচারিক সেবা কিভাবে সাধারণ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছানো যায়’ যাতে স্বচ্ছতার সাথে মানুষ স্থানীয় পর্যায়ে বিচারিক সেবা পেতে পারেন সে সম্পর্কে আলোচনার জন্য মতলব উত্তর উপজেলা প্রশাসন ‘গ্রাম আদালত সম্পর্কে ব্যাপক জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের ভূমিকা’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার আয়োজন করে। কর্মশালাটি মতলব উত্তর উপজেলার রিসোর্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়।
    স্থানীয় সরকার বিভাগ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘ উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনডিপি)-এর আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় পরিচালিত বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের সহযোগিতায় কর্মশালাটি গতকাল কচুয়া উপজেলা রিসোর্স সেন্টারে অনুষ্ঠিত হয়। মতলব উত্তর উপজেলায় কর্মরত বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তাগণ এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
    উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শুভাশিষ ঘোষ-এর সভাপ্রধানে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মতলব উত্তর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোঃ ইসমাইল হোসেন। কর্মশালায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর নিকোলাস বিশ^াস। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের জেলা সমন্বয়কারী মোঃ আমিনুর রহমান এবং সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সগীর আহম্মেদ সরকার ও আল কামাল হাসান।
    প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার বলেন, মানুষের বিচারহীনতা দূর করতে গ্রাম আদালত একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ। তাই গ্রাম আদালতের বিচারিক সেবা সবার কাছে পৌঁছাতে হবে। গ্রাম আদালতের সেবা সম্পর্কে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাগণ সাধারণ মানুষের মাঝে জনসচেতনতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা নিতে পারেন। তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে ছোট-খাটো বিরোধ স্বচ্ছতার সাথে নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। তিনি এই বিচারিক সেবার বার্তা উপজেলার সকল মানুষের কাছে বিশেষ করে দরিদ্র, সুবিধা-বঞ্চিত গ্রামীণ জনগণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।
    বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্পের ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর নিকোলাস বিশ^াস বলেন, প্রান্তিক এলাকার জনগণ বিশেষ করে দরিদ্র নারী ও অসহায় জনগোষ্ঠী যাতে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে কম সময়ে ও কম খরচে তাদের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে পারেন এজন্য আমাদের সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে।
    উল্লেখ্য যে, গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ (২য় পর্যায়) প্রকল্প চাঁদপুর জেলার ৫টি উপজেলায় মোট ৪৪টি ইউনিয়নে কাজ করে। তবে গ্রাম আদালত আইন ২০০৬ (সংশোধন ২০১৩) অনুযায়ী বাংলাদেশের সকল ইউনিয়নেই গ্রাম আদালত থাকার কথা।
    কর্মশালায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মোঃ জয়নাল আবেদিন, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ রুহুল আমিন, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা তারিক মাহমুদ হোসেন, সহকারী শিক্ষা অফিসার মোঃ মোজাম্মেল হোসেন ও মোঃ মাহফুজ মিয়া, একটি বাড়ি একটি খামারের উপজেলা কো-অর্ডিনেটর মোঃ জাহাঙ্গির আলম, উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ আব্দুস ছাত্তারসহ বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক, আশা, সিএনআরএস, দিশা, উদ্দীপন, ব্যুরো বাংলাদেশ, পিএইচডি, পেইজ ডেভেলপমেন্ট সেন্টার, এসএসএস, আপ, প্রিজম বাংলাদেশের উপজেলা কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেন।

 

সর্বাধিক পঠিত