• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

হাজীগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১২ পরিবারের ১৮ ঘর পুড়ে ছাই ॥ কোটি টাকার ক্ষতি

প্রকাশ:  ০৫ নভেম্বর ২০১৮, ০১:১৪
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

হাজীগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকা-ে ১২টি পরিবারের ১২টি বসতঘরসহ ১৮টি ঘর পুড়ে পুরোপুরি ছাই হয়ে গেছে। এতে পরিবারগুলোর প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম কালচোঁ গ্রামের পূর্ব পাড়া বেপারী বাড়িতে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে দমকল বাহিনী সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এদিকে আগুন নেভাতে গিয়ে দমকল বাহিনীর এক সদস্যসহ বেশ ক’জন আহত হয়েছেন।
    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে বেপারী বাড়িতে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে দৌড়ে এসে দেখি বাড়ির অধিকাংশ ঘরে আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছে। তখন আমরা স্থানীয়রা বালতি-কলসিসহ পানির পাত্র নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা চালাই। এর কিছু পরেই দমকল বাহিনীর সদস্যরা এসে প্রায় দেড় ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। কিন্তু ততক্ষণে ওই বাড়ির ১২টি পরিবারের ১২টি বসতঘর, ঐ সকল পরিবারের রান্নাঘর, ঘরের সকল আসবাবপত্র, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ টাকা আর গরুঘরসহ সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।  এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের প্রায় অর্ধশত মানুষের গগনবিদারী আহাজারিতে ওই এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে ওঠে।
    ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো হলো : আঃ রশিদ বেপারী, বাবুল বেপারী, নূরুল আমিন বেপারী, মজিবুর রহমান বেপারী, মনির হোসেন বেপারী, সেলিম বেপারী, রফিকুল ইসলাম বেপারী, জহির বেপারী, হান্নান বেপারী, তাজুল ইসলাম বেপারী, জিতু মিয়া বেপারী ও মফিজুর রহমান বেপারী। হঠাৎ করে অগ্নিকা-ের এমন ঘটনায় ১২টি পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেলো।
    হাজীগঞ্জ দমকল বাহিনীর সদস্য মোতালেব তালুকদার জানান, অগ্নিকা-ের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। ক্ষতির পরিমাণটা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না, এখনো আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি, তবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকা-ের সূত্রপাত হয়েছে।
    হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, স্থানীয় এবং ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানতে পারি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বাড়িটি ঘনবসতি হওয়ায় ছোট-বড় ১৮ থেকে ২০টি ঘর পুড়ে গেছে। এতে ৭০-৮০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়–য়া বলেন, ভোরে আমি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনী জিনিসপত্র দিয়ে আসবো।
     অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হাজীগঞ্জ সার্কেল) আফজাল হোসেন  জানান, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ১২টি পরিবারের প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর নিরাপত্তায় রাতের জন্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

সর্বাধিক পঠিত