টিআই, টিআইবি, সনাক এবং দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন বিষয়ক পাঠচক্র
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) ও ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর আয়োজনে ইয়ূথ এনগেজমেন্ট এন্ড সাপোর্ট (ইয়েস) ও ইয়েস ফ্রেন্ডস্ গ্রুপের অংশগ্রহণে গতকাল ৩০ অক্টোবর ২০১৮ বিকাল সাড়ে ৩টায় সনাক কার্যালয়ে টিআই, টিআইবি, সনাক ও দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলন শীর্ষক পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়।
পাঠচক্রে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন টিআইবির এরিয়া ম্যানেজার মোঃ মাসুদ রানা। তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিপূর্ণ এবং সুশাসিত সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের মাধ্যমে দুর্নীতিমুক্ত বিশ্ব ও সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে ১৯৯৩ সালে টিআই প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রায় ১০০টি দেশে টিআই-এর কার্যক্রম চলমান আছে। টিআই-এর মূল কার্যক্রম হলো-দুর্নীতির পরিমাপ প্রণয়নের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের দুর্নীতির অবস্থান নির্ণয় করা, দুর্নীতিবিরোধী সচেতনতা তৈরি করা, দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভিন্ন টুলস্ প্রণয়ন করা, দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন গবেষণা ও প্রকাশনা তৈরি করা। তারা আরও বলেন, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ১৯৯৬ সালে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) প্রতিষ্ঠা লাভ করে। দুর্নীতিবিরোধী আন্দোলনকে সামাজিক আন্দোলনে আরও বিস্তারের লক্ষ্যে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা প্রকল্পের মাধ্যমে টাকা প্রদান করে থাকে। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো হলো-অ্যাম্বেসি অব ডেনমার্ক (উঅঘওউঅ), অ্যাম্বেসি অব সুইডেন, সুইস এজেন্সি ফর ডেভলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশন (ঝউঈ), ইউকে ডিপার্টমেন্ট ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট (উঋওউ)। বর্তমানে বিল্ডিং ইন্টিগ্রিটি ব্লকস্ ফর ইফেক্টিভ চেঞ্জ (বিবেক) প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ প্রকল্পের লক্ষ্য হচ্ছে দুর্নীতি হ্রাসকরণের জন্যে অধিকতর অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়কের ভূমিকা পালন করা। উদ্দেশ্য হচ্ছে লক্ষিত প্রতিষ্ঠানে/সেবা খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য আইন, নীতি, প্রক্রিয়া সংশোধনের জন্য অ্যাডভোকেসি কার্যক্রম পরিচালনা করা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য জনগণের মধ্যে চাহিদা সৃষ্টি এবং দুর্নীতিকে চ্যালেঞ্জ করার জন্যে নাগরিকের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা। টিআইবি বিশ্বাস করে জনগণই সকল পরিবর্তনের মূল অনুঘটক। আর সে কারণেই ২০০০ সালে দুর্নীতিবিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে স্থানীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) গঠন করে। চাঁদপুর ২০০৫ সালের ২৫ ডিসেম্বর সনাক গঠন করা হয়। পাঠচক্রে উপস্থিত হওয়ার জন্য তাঁরা সকলকে ধন্যবাদ জানান।
উপস্থিত ইয়েস ও ইয়েস ফ্রেন্ডস সদস্যবৃন্দ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা হলেন ইয়েস সদস্য মোঃ সজীব হোসাইন বিজয়, মোঃ মেহেদী হাসান, রাজিব দাস, জয় ঘোষ ও দীন মোহাম্মদ। এছাড়াও ইয়েস ফ্রেন্ডস্ দলনেতা খায়রুল আলম জনি, সদস্য রাবেয়া আক্তার, সোহরাব হোসাইন, মাহমুদা সুলতানা, তাছমীম আহমেদ মীম, জায়েদুর রহমান নিরব, তানজিনা আক্তার, মেহেদী হাসান নবীন, মোঃ রবিউল হোসেন রাব্বি, আল হাসান বাবু, অনয় দেবনাথ, মোঃ আরিফ হোসেন, বিএম কাউছার হামিদ, অনন্ত সাহা, রাছেল হোসেন ও মোঃ নাজমুল ইসলাম রাজ।