• পরীক্ষামূলক সম্প্রচার
  • বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১
  • ||
  • আর্কাইভ

ঘোড়াধারীতে সম্পত্তিগত বিরোধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাট

প্রকাশ:  ২৮ অক্টোবর ২০১৮, ১২:০৩
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রিন্ট

মতলব দক্ষিণ উপজেলার ৬নং উপাদী দক্ষিণ ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ঘোড়াধারী গ্রামের খান বাড়িতে সম্পত্তিগত বিরোধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর ও লুটপাটসহ ৩জন গুরুতর আহত হয়েছে। এতে অর্ধ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্তরা জানায়।
    জানা যায়, গত ২৬ অক্টোবর শুক্রবার ঘোড়াধারী গ্রামের খান বাড়িতে ভোর ৬টায় মৃত আবদুর রব খানের ছেলে মোঃ জসিম খানের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জসিম স্টোরে একই বাড়ির মোঃ নূরে আলম মাস্টার, তুফে আলম, ইকবাল খান, মিলন খান, তকদির খান, কাউসার খানসহ আরো ৮/১০ জন সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে জসিম স্টোরে থাকা মালামাল লুট ও ভাংচুর করে। হামলাকারীদের জসিমের মা মরিয়মন্নেছা বাধা প্রদান করতে গেলে তাকে মারধর করে পাশের পুকুরে ফেলে দেয়। খবর পেয়ে মোঃ জসিম খান ও তার স্ত্রী জায়েদা বেগম, তার ভাই মোঃ মাহফুজ খান, মোঃ রবিউল খান ছুটে গিয়ে তাদের মাকে উদ্ধার করে ও হামলাকারীদের বাধা দিলে তাদেরকে হাতুড়ি ও বাঁশ দিয়ে মারধর করে আঘাত করে মারাত্মক জখম করে। আহতদের এলাকার লোকজন গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে মতলব ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
    প্রত্যক্ষদর্শী পার্শ্ববর্তী বাড়ির মোঃ আলমগীর বকাউল, ব্যবসায়ী সেলিম তপাদার, পল্লী চিকিৎসক আলমগীর বেপারী ও কৃষক হেলাল বেপারী জানান, এ সম্পত্তিটি জসিমের বাবা মৃত আবদুর রব খান ক্রয় করে এবং জসিম ও তার ভাইয়েরা পৈত্রিক সূত্রে মালিক হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছে। কিন্তু গত কদিন যাবৎ নূরে আলম মাস্টার এ সম্পত্তি তাদের বলে দাবি করে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় কয়েকবার সমাধানের চেষ্টা করলে  উভয় পক্ষের মধ্যে কোনো বনিবনা না হওয়ায় সমাধান হয়নি। আজকের ঘটনাটি তারা পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছে।
    এ বিষয়ে নূরে আলম মাস্টারের চাচাতো ভাই তুফে আলম জানান, গত ৩০ বছর যাবৎ তাদের সম্পত্তি জসিম ও তার পরিবার জোর করে ভোগদখল করে আসছে।
    ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ গোলাম মোস্তফা প্রধানিয়ার সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ মহূর্তে তিনি জরুরি কাজে ঢাকায় অবস্থান করছেন। এলাকায় গিয়ে তিনি উভয়পক্ষকে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের আশ^াস দেন। ইউপি সদস্য মোঃ মফিজুল ইসলাম বাবুর সাথে কথা বললে তিনি জানান, উভয় পক্ষকে কয়েকবার বসার জন্যে তাগিদ দেয়া হলেও নূরে আলম মাস্টাররা এ বিষয়ে কোনো কর্ণপাত করেননি।
    এদিকে এ ঘটনায় আহত মোঃ জসিম খানের ছোট ভাই মোঃ রবিউল খান বাদী হয়ে মতলব দক্ষিণ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে মতলব দক্ষিণ থানার সাব-ইন্সপেক্টর জহির ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং আজ রোববার উভয় পক্ষকে থানায় আসার জন্যে বলেন।

 

সর্বাধিক পঠিত